স্টাফ রিপোর্টার ॥ জনবল সংকটে ধুঁকে ধুঁকে চলছে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল। একদিকে আছে চিকিৎসক সংকট, অন্যদিকে প্রয়োজনীয় ঔষধের অভাব। হাসপাতালে আসা রোগীদের চিকিৎসার জন্য ছুটতে হচ্ছে বেসরকারি হাসপাতালে, যেতে হচ্ছে ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরে । এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন তারা। এদিকে হাসপাতালে জরুরি ঔষধের সংকট চলছে। প্রতিবছর ১০ কোটি টাকার ঔষধের চাহিদা থাকলেও বরাদ্দ আসে মাত্র দুই কোটি টাকার। ফলে চাহিদা অনুযায়ী রোগীদের মধ্যে ঔষধ সরবরাহ সম্ভব হয় না। রোগীদের প্যারাসিটামল, নাপা, হিস্টাসিনসহ কয়েক ধরনের স্বল্পমূল্যের ঔষধ দেওয়া হচ্ছে। এন্টিবায়োটিক ইনজেকশন, ট্যাবলেট, ক্যাপসুল সরবরাহ নেই। ঔষধ কিনে আনতে বললে অনেক সময় রোগীর স্বজনদের তোপের মুখে পড়ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা। এমন পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হাসপাতাল প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। ২০ লাখেরও বেশি মানুষের চিকিৎসাসেবার একমাত্র ভরসা ২৫০ শয্যার এ হাসপাতাল। প্রতিদিন জেলা থেকে প্রায় এক হাজার ২০০ রোগী এখানে চিকিৎসা নেন। হবিগঞ্জ ছাড়াও কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম উপজেলা এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরের ধরমণ্ডল এলাকা থেকে অনেকেই আসেন চিকিৎসা নিতে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালে ৫৭টি চিকিৎসক ও কর্মকর্তার পদ রয়েছে। বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন মাত্র ২২ জন। ৩৫টি পদই শূন্য রয়েছে। এর মধ্যে গাইনি, ইএনটি, কার্ডিওলজি, ইউরোলজি, নেফ্রোলজি, সার্জারি, অর্থোসার্জারি, শিশু, চর্ম ও যৌন রোগের সিনিয়র কনসালট্যান্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো শূন্য রয়েছে। হাসপাতালের স্টোর ইনচার্জ জিয়াউর রহমান বলেন, প্রতিবছর ১০ কোটি টাকার ঔষধের চাহিদা রয়েছে। পাওয়া যায় দুই কোটি টাকার। চলতি বছর দুই কোটি ৩৫ লাখ টাকার ওষুধ এসেছে। এন্টিবায়োটিক, ইনজেকশনসহ গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী রোগীদের মধ্যে সরবরাহ সম্ভব হয় না। সদর আধুনিক হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আমিনুল হক সরকার বলেন, হাসপাতালে রোগীর চাপ অনেক বেশি। চিকিৎসক সংকটও রয়েছে। এর মধ্যেই আমরা তাদের কাঙ্খিত সেবা দিতে আপ্রাণ চেষ্টা করছি। চিকিৎসক ও ঔষধ সংকটের বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
Leave a Reply