বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ১০:৩৫ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
নবীগঞ্জে লটারির মাধ্যমে ১৩ ইউনিয়নে খাদ্যবান্ধব ডিলার নিয়োগ লাখাইয়ে পুলিশ দেখে ভয়ে পালাতে গিয়ে যুবলীগ নেতার মৃত্যু হবিগঞ্জে ২২ বছর পর হত্যা চেষ্টা মামলার রায়ে ৮ জনই খালাস ভারত থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশকালে হবিগঞ্জের ৩ যুবক আটক মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের অভিযানে গাঁজাসহ কারবারি গ্রেফতার মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে দুদকের হবিগঞ্জ উপ-পরিচালকসহ ৩ সদস্যের অভিযান লাখাইয়ে পার্টানার কংগ্রেস কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবিগঞ্জে ভারতীয় গরু অনুপ্রবেশ নিয়ে শঙ্কায় খামারিরা মাধবপুরে দুনীর্তি প্রতিরোধ কমিটির বির্তক প্রতিযোগিতা বানিয়াচংয়ে সামান্য বৃষ্টিতেই সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা ॥ দেখার যেন কেউ নেই
হবিগঞ্জে সাবেক পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলিসহ ৫৫ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা

হবিগঞ্জে সাবেক পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলিসহ ৫৫ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপি’র উপর নির্বিচারে গুলি ও অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগে হবিগঞ্জের সাবেক পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলি ও সদর থানার সাবেক ওসি মাসুক আলীসহ ৫৫ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতে অভিযোগ দায়ের করেছেন লাখাই উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও অ্যাডভোকেট শামসুল ইসলাম।
এছাড়াও অভিযোগে হবিগঞ্জ সদর থানার তৎকালীন ওসি তদন্ত দৌস মোহাম্মদ, ওসি অপারেশন নাজমুল হোসেন কামাল ও ডিবি’র ওসি আল আমিনসহ ৫৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
গতকাল রবিবার (৩নভেম্বর) সকালে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ দেলোয়ার হোসেনের আদালতে এ অভিযোগ দায়ের করা হয়।
আদালত মামলাটি আগামী ৫ নভেম্বর শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন। অভিযোগ দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অ্যাডভোকেট শামসুল ইসলাম।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২২ ডিসেম্বর বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে হবিগঞ্জ জেলা বিএনপি জনসভার আহ্বান করে। হবিগঞ্জ পৌরসভার মাঠ অথবা চিলড্রেন পার্কটিতে জনসভা করার অনুমতি চাওয়া হলে অনুমতি দেয়নি তৎকালীন মেয়র আতাউর রহমান সেলিম। অনুমতি না পেয়ে শায়েস্তানগরের জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে জনসভা করার সিদ্ধান্ত নেয়। লিখিতভাবে পুলিশ সুপারকে অবহিত করা হয়।
সকাল থেকে অস্থায়ী পার্টি অফিসের সামনে একটি ছোট মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু হলে পুলিশ বাধা দেয়। গলির পূর্ব ও পশ্চিম মুখে পুলিশ ব্যারিকেড দিতে শুরু করে। দুপুর ১২টার দিকে কেন্দ্রীয় নেতার অর্থাৎ বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি ও মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি ও চীফ হুইপ জয়নাল আবেদীন ফারুক, যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলসহ কেন্দ্রীয় নেতারা সভাস্থলে উপস্থিত হয়। সভাস্থলে বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী জড়ো হতে শুরু করে। তবে পুলিশ হবিগঞ্জ শহরের সব প্রবেশ মুখে চেকপোস্ট বসিয়ে সভাস্থলে আসা নেতা-কর্মীদের আটক ও হয়রানি করতে থাকে।
এদিকে ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণ মিছিল আসতে থাকলে পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলির নির্দেশে উপস্থিত বিপুলসংখ্যক পুলিশ ছাত্রদলের মিছিলের ওপর গুলি বর্ষণ করে। গুলিতে বহু নেতা-কর্মী আহত হয়। ছাত্রদলের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ্ রাজীব আহম্মেদ রিংগনের শরীর ঝাঁজরা হয়ে যায় গুলিতে। ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমানের চোখে গুলির আঘাতে তার ডান চোখ নষ্ট হয়ে যায়। গুলিতে হবিগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর সফিকুর রহমান সিতু, আশরাফুল আলম সবুজ, ইয়ামিন মিয়া, তৌহিদুর রহমান অনি, নাজমুল হোসেন অনিসহ অনেকে গুরুতর আহত হয়। পুলিশের গুলিতে প্রায় ৩০০ নেতা-কর্মী আহত হয়।
এ ঘটনায় হবিগঞ্জ সদর থানায় মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ মামলা গ্রহণ করেনি। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা বাদীসহ প্রত্যক্ষদর্শীকে ভয়ভীতিসহ হত্যা মামলা দায়েরের ভয় দেখায়।
বাদীপক্ষের আইনজীবি এডভোকেট শামসুল হক মতিন জানান, আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালত শুনানী শেষে অধিকর শুনানীর জন্য আগামী ৫ নভেম্বর নির্ধারণ করেছেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved 2024 DailyBijoyerProtiddhoni
Design & Developed BY ThemesBazar.Com