স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জের এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী ফরিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ করা হয়েছে। গত ৬ নভেম্বর ওই অফিসের সমাজবিজ্ঞানী আতিকুল হক প্রধান প্রকৌশলী আগারগাঁও, ঢাকা বরাবরে অভিযোগটি দায়ের করেছেন। অভিযোগে বলা হয়- আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলের মানসিক রোগীর মত কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম নির্বাহী প্রকৌশলীর অবৈধ, অসামাজিক, অসংলগ্ন, এলোমেলো, দায়সারাগোছের কথাবার্তা, আচার-আচরণ, ঘুষ দুর্নীতি ও তার মানসিক রোগীর মতো। অভিযোগকারী তার অভিযোগে বলেন, স্বেচ্ছায় পিআরএল/পেনশনে যাওয়ার জন্য ২০২৩ সালের ২৩ জুলাই আবেদন করেছিলেন। কিন্তু নির্বাহী প্রকৌশলী তা মঞ্জুর না করার কারণে ৫৯ বছর চাকুরীপূর্ণ করে আবার পুনরায় পেনশনের জন্য চলতি বছরের ১৬ অক্টোবর আবেদন করেন তিনি। ফরিদুল ইসলামের চাহিদা অনুযায়ী টাকা না দেয়ার কারণে তার ইএলপিসি ও অন্যান্য কাগজপত্র, জিপিএফ এর টাকা উত্তোলনের বিল ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত জেলা হিসাব রক্ষণ ও ফাইন্যান্স কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয়নি। ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত তাকে কোনো পেনশন মঞ্জুরির পত্র/আদেশ দেয়া হয়নি। তাকে টাকা না দেয়ার কারণে তার তিন মাসের বেতন ভাতা বন্ধ করে রাখা হয়েছিল এবং পেনশনের ব্যাপারে জটিলতা সৃষ্টি করা হয়। পিআরএল/পেনশনের আবেদন করার পর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত নির্বাহী প্রকৌশলী ফরিদুল ইসলাম তার সাথে অবৈধ, অসামাজিক, অসংলগ্ন, এলোমেলা, দায়সারাগোছের কথা বার্তা, আচার-আচরণ করেছেন এবং তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন। তিনি এখন নিরপত্তাহীনতায় ভোগছেন। তিনি সমাজবিজ্ঞানী হিসাবে তার ধারণা ফরিদুল ইসলাম মানসিক রোগী। মানসিক রোগীর ডাক্তারের মাধ্যমে মেডিকেল বোর্ড বসিয়ে মেডিকেল বোর্ডের মতামতের পরে নির্বাহী প্রকৌশলীকে এই গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখা ঠিক নয় বলে তিনি মনে করেন। তাই তিনি প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী আগারগাঁও ঢাকা সমীপে নির্বাহী প্রকৌশলীকে যত দ্রুত সম্ভব চাকুরী থেকে অব্যাহতি দিতে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। অভিযোগকারী মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, প্রধান বিচারপতি, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টাসহ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে অভিযোগের অনুলিপি প্রেরণ করেছেন।
Leave a Reply