স্টাফ রিপোর্টার ॥ শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ শিল্পাঞ্চল এলাকা অলিপুরে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের জমিতে দিনদিন বেড়েই চলেছে অবৈধ দোকানঘর ও স্থাপনা নির্মাণ। স্থানীয় প্রভাবশালী মহল সরকারি জায়গা দখল করে সেখানে দোকানপাট বসিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছে। অথচ সওজ কর্তৃপক্ষের রহস্যজনক নিরবতা পরিলক্ষিত হচ্ছে।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের অলিপুর অংশে অবৈধভাবে সিএনজি ও বাসস্ট্যান্ড গড়ে উঠেছে। ফলে যানজট লেগেই থাকে। অলিপুর শিল্পাঞ্চল হওয়ার কারণে প্রতিদিন হাজারো মানুষ এ এলাকায় যাতায়াত করে। এখানে দেশের বৃহত্তম শিল্প প্রতিষ্ঠান প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ, স্কয়ার কোম্পানি, বাদশা কোম্পানি, তাফরিদ কটন মিলসসহ আরও বেশ কয়েকটি শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যেখানে প্রায় ১ লাখ শ্রমিক কাজ করে। এ কারণে এ এলাকাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অবৈধ দখলদাররা সওজের পতিত জমিতে দোকানপাট তৈরি করে প্রতিদিন ১০০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া আদায় করছে। যার ফলে সরকার লাখ লাখ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। মাঝে মধ্যে সওজ কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদ অভিযান চালালেও পর্যবেক্ষণের অভাবে কিছুদিন পরই আবার নতুন করে দখল হয়ে যায়। অভিযোগ রয়েছে, কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও প্রশাসনের সঙ্গে আঁতাত করে এই দখলবাজ চক্র দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
বিশেষ করে অলিপুর গোলচত্বর এলাকা, যা সওজের নির্ধারিত মানচিত্রের অন্তর্ভুক্ত। সেটিও দখলদারদের কবলে। অতিরিক্ত জমি অধিগ্রহণ করেও সঠিক ব্যবহার না করায় সেখানে গড়ে উঠেছে পাকা ও সেমিপাকা স্থাপনা।
এদিকে, প্রতিদিন সন্ধ্যার পর যানজটের কারণে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যাতায়াতকারী যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী যানবাহনের কয়েক ঘণ্টা ভোগান্তিতে পড়তে হয়। চলমান এই সমস্যা সমাধানে এলাকাবাসী অবৈধ দখলদারদের দ্রুত উচ্ছেদ করে গোলচত্বরের জায়গা দখলমুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে হবিগঞ্জ সওজ ও সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জাকির হোসেন জানান, বর্তমানে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ছয় লেনের কাজ চলমান রয়েছে। ছয় লেনের জায়গা ছাড়া সওজের অবশিষ্ট জমি যদি অবৈধ দখলে থেকে থাকে তাহলে তা দ্রুত উচ্ছেদ করা হবে।
Leave a Reply