নিজস্ব প্রতিনিধি॥ নবীগঞ্জ-মার্কুলী রাস্তাটি বর্তমানে মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে, যার ফলে হাজার হাজার মানুষের জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। ২০২২ সালের বন্যায় রাস্তাটি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও দীর্ঘ দুই বছরেও সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এই এলাকার বাসিন্দারা। সরেজমিনে দেখা গেছে, রাস্তাটির অধিকাংশ জায়গায় পিচ উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে, যা প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার কারণ হচ্ছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করছেন কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ এলাকার সাধারণ মানুষ। উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র এই রাস্তাটির করুণ দশার কারণে ব্যবসায়ীরাও পড়েছেন চরম বিপাকে। পণ্যবাহী ট্রাক প্রায়ই গর্তে দেবে গিয়ে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। হাওর অধ্যুষিত হওয়ায় এই এলাকার ধান বিক্রির জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে পরিবহনের ক্ষেত্রেও বড় বড় ট্রাক এই রাস্তাটি ব্যবহার করে, যা রাস্তার অবস্থাকে আরও শোচনীয় করে তুলেছে। এই বিষয়ে এলাকার সচেতন মহল একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও কোনো সুরাহা মেলেনি, ফলে হতাশ হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী। আদর্শ বিদ্যানিকেতনের অধ্যক্ষ বলেন, রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে কাজ না হওয়ায় অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন শত শত শিক্ষার্থী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে। তাদের চলতে খুব সমস্যা হয় এবং একাধিকবার তারা দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। প্রায় সময়ই এই রাস্তাটিতে দুর্ঘটনা ঘটে। তাছাড়া, অসুস্থ কোনো রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়াও সম্ভব হয় না। হরিনগর বাজারের ব্যবসায়ী সুমন আহমেদ জানান, দোকানের মালামাল নিয়ে আসতে অনেক সময় পণ্যবাহী ট্রাক রাস্তার গর্তে দেবে যায়, ফলে মালামাল পরিবহন করতে আমাদের অধিক ভাড়া দিতে হয়। সিএনজি অটোরিকশা চালক ফজলু বলেন, রাস্তা খারাপ হওয়ায় আমাদের ব্যাপক গ্যাস খরচ হয়। তাছাড়া জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাতে হয় এবং গাড়িরও ব্যাপক ক্ষতি হয়।এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী সাব্বির আহমদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এই রাস্তার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ পেলে শীঘ্রই রাস্তাটির টেন্ডার প্রক্রিয়ায় চলে যাবে। তবে কবে নাগাদ এই দুর্ভোগের অবসান হবে, তা নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে রয়েছে সংশয়।
Leave a Reply