স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাহুবল উপজেলা জামায়াতের রুকন মিরপুর পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী শিক্ষিকা মিনারা খাতুনের খুনীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় উপজেলার মিরপুর চৌমুহনীতে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে পাইলট স্কুল এন্ড কলেজ সহ বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। এছাড়া মিরপুর ইসলামী একাডেমি, সান-শাইন হাইস্কুল, দি হোপ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, ব্লু বার্ড স্কুল, মিরপুর গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ ও মিরপুর আলিফ সোবহান চৌধুরী ডিগ্রি কলেজ ও মিরপুর দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাও অংশ নেয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সিলেট মহানগরী জামায়াতের সেক্রেটারি শাহজাহান আলী, উপজেলা জামায়াতের আমীর ডাক্তার সিরাজুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী দুলাল, বিএনপি নেতা আব্দুল আহাদ কাজল, প্রভাষক আইয়ুব আলী, প্রভাষক আব্দুল হাই ভূইয়া, শ্রমিক নেতা হোসাইন আল শামীম, নিহতের স্বামী আব্দুল আহাদ ইবনে মালেক প্রমুখ। বক্তারা অনতিবিলম্বে খুনীদের গ্রেফতার করা না হলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ সহ ডিসি-এসপি অফিস ঘেরাও করা হবে বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন। বাহুবল উপজেলা জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি ও বাহুবল উপজেলা শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের সভাপতি আব্দুল আহাদ ইবনে মালেকের স্ত্রী মিরপুর পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষিকা মিনারা খাতুন (৩৫)কে নিজগৃহে শ্বাসরোধ ও ছুরিকাঘাতে হত্যা করে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা। ২১ ফেব্রুয়ারী রাত ৭ টার দিকে উপজেলার পশ্চিম জয়পুর গ্রামে নির্মাণাধীন বাড়িতে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত মিনারা খাতুন মহিলা জামায়াতের রুকন ছিলেন। তার এক মেয়ে সুমাইয়া জান্নাত মুনতাহা মিরপুর পাইলট স্কুল এন্ড কলেজে নবম শ্রেণির ছাত্রী এবং সাফওয়ান আজিম উসমান নামের ৭ মাসের এক পুত্র সন্তান রয়েছে। ঘটনার একদিন পর ২৩ ফেব্রুয়ারী নিহত শিক্ষিকার স্বামী আব্দুল আহাদ ইবনে মালেক বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামীদের বিরুদ্ধে বাহুবল মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। কিন্তু ঘটনার ৪ দিনেও ঘটনার ক্লু উদঘাটন বা ঘাতকদের গ্রেফতার করতে না পারায় পুলিশের প্রতি জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া বিরাজ করছে। উল্লেখ্য, নিহতের স্বামী আব্দুল আহাদ ইবনে মালেক ২১ ফেব্রুয়ারী রাত ৭ টার দিকে বাড়ি ফিরে ঘরের ভিতর স্ত্রী মিনারা খাতুনকে খাঠের উপর পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। খবর পেয়ে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এ এন এম সাজেদুর রহমান, পিবিআই হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার হায়াতুন্নবী, বাহুবল উপজেলা নির্বাহী অফিসার গিয়াস উদ্দিন, মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ জাহিদুল ইসলাম, নবীগঞ্জ বাহুবল আসনের সাবেক এমপি আলহাজ্ব শেখ মোঃ সুজাত মিয়া, হবিগজ্ঞ জেলা জামায়াতের আমীর কাজী মাওলানা মখলিছুর রহমান, জেলা নায়েবে আমীর মাওলানা আশরাফ আলী ও সিলেট মহানগরী জামায়াতের সেক্রেটারি শাহজাহান আলী সহ বিএনপি জামায়াতের নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
Leave a Reply