নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ শায়েস্তাগঞ্জ-দেউন্দি সড়ক জুড়ে প্রায় চার কিলোমিটার দীর্ঘ গর্ত, কাদা আর হাঁটু সমান পানি। কোথাও কোথাও রাস্তার অস্তিত্বই নেই। এই সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন অন্তত চারটি ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করেন। কিন্তু বর্ষা নামতেই সড়কটি রূপ নিয়েছে কাদামাখা খালে। যানবাহন চলাচল তো দূরের কথা, হেঁটে চলাও হয়ে উঠেছে কঠিন। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে শায়েস্তাগঞ্জ থেকে শাকির মোহাম্মদ বাজার পর্যন্ত সড়কটি সংস্কারে ৪ কোটি ৬০ লাখ টাকার প্রকল্প নেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। কাজের দায়িত্ব পায় মেসার্স কেবি কনস্ট্রাকশন। কার্যাদেশ অনুযায়ী কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল ২০২৪ সালের ১৪ আগস্টে এবং শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৫ সালের ১৩ মার্চে। কিন্তু এখনো কাজ দৃশ্যমান নয়। কয়েক মাস আগে পুরোনো কার্পেটিং তুলে ফেলে রাখার পর থেকেই রাস্তাটি সংস্কারবিহীন অবস্থায় পড়ে আছে। শানখলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম বলেন, ঠিকাদার পুরোনো কার্পেটিং তুলে সড়কটি এমন অবস্থায় ফেলে রেখেছে। স্থানীয়দের চলাচলে বড় ধরনের বিপর্যয় তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, ‘যিনি কাজ নিয়েছিলেন, তিনি এটি আরেকজনের কাছে বিক্রি করেন। সেই সাব-ঠিকাদার এখন জেলে আছেন, তাই পুরো কাজই থেমে আছে।’
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স কেবি কনন্ট্রাকশনের মালিক মনসুর রশিদ কাজল বলেন, ‘বৃষ্টি ও কিছু কারিগরি জটিলতায় দেরি হচ্ছে। তবে আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারব।’ এলজিইডির হবিগঞ্জ জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘চলতি বছরের মার্চে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছে। এরপর ঠিকাদার সময় বৃদ্ধির আবেদন করেছেন। অনুমোদনের পরই কাজ আবার শুরু হবে।
Leave a Reply