স্টাফ রিপোর্টার ॥ চুনারুঘাট উপজেলার দেওরগাছ ইউনিয়নের ষাড়ের কোনা গ্রামের বিধবা জমিলা খাতুনের সহায় সম্পত্তি জবর দখলের অপচেষ্টায় বজলু মিয়া সহ একটি কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। গত শুক্রবার (২৫ জুলাই ২০২৫ ইং) দুপুর ২,৩০ মিনিটে এ বজলু মিয়া, কিছু সংখ্যক লোক নিয়ে জমিলা খাতুনের জমি দখলের চেষ্টা করলে এ সংঘর্ষটি ঘটে! বজলু মিয়া মাধবপুর ভুমি অফিসের কর্মচারী।
বজলু মিয়াকে তার ব্যবহৃত ফোনে কল দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
জমিলা খাতুনের কোন পুত্র সন্তান না থাকায় জমিলা খাতুনের সহায় সম্পত্তি জবর দখলের অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়ে, জমিলা ও তার দুই মেয়ের উপরে দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতন করে আসছে বজলু মিয়া সহ একটি কুচক্রী মহল।
জমিলা খাতুনের দুই মেয়ে সহ বিভিন্ন সময়ে নির্যাতনের শিকার হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
মামলা চলমান সময়ে কোর্টে মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে বজলু মিয়া সহ তাদের উপরে নির্যাতনের আরেক টি মামলা করেন।
জমিলার পৌত্রিক সম্পত্তি থেকে অন্যায় ভাবে উচ্ছেদে লিপ্ত রয়েছে বজলু মিয়া সহ একটি কুচক্রী মহল।
এরই ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার দুপুর আনুমান ২:২৫ মিনিটে জমিলা ও জমিলার মেয়ে লবজান বিবিকে বজলু মিয়া অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করলে লবজান বিবি প্রতিবাদ করে, পূর্ব পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বজলু মিয়া ও তার লোকজন লবজান বিবিকে ও তৌফিক মিয়াকে মেয়ের হাত ভেঙ্গে জখম করে। স্থানীয়রা আহত দের উদ্ধার করে চুনারুঘাট হাসতালে নিলে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে রেফার করেন। তৌফিক ও লবজানের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এব্যাপারে জমিলার নাতি ছাওয়াল মিয়া বাদী হয়ে চুনারুঘাট থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলায় আসামীরা হলেন, বজলু মিয়া, শরিফ মিয়া, শাওন মিয়া, মোঃ শফিক মিয়া, মোহাম্মদ কুতুব মিয়া, ও কুলসুমা বেগম।
ইতিমধ্যে চুনারুঘাট থানা পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে শরিফ মিয়াকে গ্রেফতার করেন।
Leave a Reply