নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ চুনারুঘাট রেমা কালেঙ্গা অভয়ারণ্যের বিভিন্ন জাতের বৃক্ষরাজি উজার হয়েগেছে। রেঞ্জ কর্মকর্তা সহ সংশ্লিষ্ট বিট কর্মকর্তাদের প্রত্যক্ষ্যমদদে স্থানীয় গাছ পাচারকারী চক্র বিভিন্ন প্রজাতির গাছ দিনেদুপুরে সংরক্ষিত এই বনাঞ্চল উজার করেছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন সময়ের সংসদ সদস্যগণ ও পাচারকারী চক্রকে ছত্রছায়া দিয়ে আসার অভিযোগ রয়েছে। বন বিভাগের কথিত মহালদার পরিচয় ধারন করে অনেকেই দিনেদুপুরে হাতি দিয়ে গাছ টানার দৃশ্য দেখা গেছে। কথিত মহালদারদের মধ্যে মিজানুর রহমান সোহাগ-ই গাছপাচারের অন্যতম হোতা বলে অভিযোগ আছে। মিজানু রহমান সোহাগ এক সময়ে সাবেক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট মাহবুব আলীর আস্থাভাজন হয়ে উঠেন। এ সুবাধে তিনি রেমা কালেঙ্গা ও রঘুনন্দন সংরক্ষিত বনাঞ্চল সহ চা বাগানের শেডটি হরদম পাচার করেছেন। চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মিজানুর রহমান সোহাগ ডিগবাজি দিয়ে বিজয়ী প্রার্থী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের ঘাড়ে চেপে বসেন। সুমনের ছত্রছায়ায় এসে আবারও গাছ পাচারে বেপরোয়া হয়ে উঠেন। তিনি সুমনের দক্ষিণ হস্ত হিসেবে নিজেকে জাহির করেন। অভিযোগে জানা যায়, কালেঙ্গা রেঞ্জ অফিসার সাবেক বনমন্ত্রী হাসান মাহমুদের আত্মীয়ের পরিচয়ে এ সব মূল্যবান গাছ বিক্রি করে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা।
কালেঙ্গা বিট থেকে প্রতিদিনই পাচার হচ্ছে সেগুনসহ বিভিন্ন প্রজাতির মূল্যবান গাছ। মাসুদুর রহমান কালেঙ্গা বিট অফিসে যোগদানের পর থেকেই এ বিটে গাছ পাচার বেড়ে যায়।
বনবিভাগের লোকসহ স্থানীয় কিছু চোরাই গাছ পাচারকারী, বনবিভাগ কতৃর্ক লালিত ভিলেজার (চুক্তি ভিত্তিক বনপ্রহরী) স্থানীয় প্রভাবশালী দলীয় লোকজন এবং জনপ্রতিনিধিরাই মূলত রেমা-কালেঙ্গা ধ্বংসের পেছনে দায়ী। মিজানুর রহমান সোহাগ মহালদারের তকমা লাগিয়ে দিনেদুপুরে গাছপাচারে মহাযজ্ঞ শুরু করেন। এ ব্যাপারে মিজানুর রহমান সোহাগের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি আমার বৈধ মহাল থেকে হাতি দিয়ে গাছ নামিয়েছি। রঘনন্দন বনাঞ্চালে আমার আর ও দুটি মহাল রয়েছে। আমি অবৈধ কোন গাছ পাচারের সথে জড়িত নই।
Leave a Reply