স্টাফ রিপোর্টার ॥ চালককে হত্যা করে টমটম ছিনতাই মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন ও একজনের তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ইয়াছিন আরাফাত এ রায় ঘোষণা করেন। অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হাবিবুর রহমান খান এ তথ্য জানিয়েছেন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তিনজন হলেন- জেলার বানিয়াচং উপজেলার জাতুকর্ণপাড়ার মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে অ্যাংরাজ মিয়া (৩৯), মাধবপুর উপজেলার বেজুড়া গ্রামের সিফন উদ্দিনের ছেলে মুসলিম মিয়া (২৪) ও একই উপজেলার খরকী গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে রুবন মিয়া (৩৫)। এছাড়া রায়ে জাতুকর্ণপাড়ার মেঘা মিয়ার ছেলে রুবেল মিয়াকে (৩৭) তিন বছরের সাজার আদেশ দেওয়া হয়। চারজনের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেন বিচারক। আদালতে রায় ঘোষণার সময় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত তিনজনকে কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। আরেক আসামি রুবেল পলাতক। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১৭ জুলাই চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান থেকে ইজিবাইকচালক আলমগীর মিয়ার (২৬) আগুনে পোড়া লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে চুনারুঘাট থানার এসআই হাবিবুর রহমান অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পরে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করা হলে তারা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে আলমগীর মিয়াকে হত্যার পর তার টমটম ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করেন। মামলাটি প্রথমে চুনারুঘাট থানার তৎকালীন এসআই মো. শলাই মিয়া ও এসআই আল আমিন তদন্ত করেন। পরে এসআই আব্দুল মোতালেব তদন্ত শেষ করে ২০২১ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি আদালতে প্রতিবেদন দেন। অতিরিক্ত পিপি হাবিবুর রহমান আরও জানান, আসামিরা উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদন করলে আদালত জামিন নাকচ করে ৬ মাসের মধ্যে বিচারকাজ শেষ করার নির্দেশ দেন। মামলায় ২৪ জনের সাক্ষ্য নেওয়া শেষে সোমবার রায় দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে আসামিপক্ষের আইনজীবী ফাতেমা বেগম বলেন, কোনো সাক্ষীই এই খুনের ঘটনা দেখেনি বলে সাক্ষ্য দেওয়ার পরও আসামিদের সাজা দেওয়া হয়েছে। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব।
Leave a Reply