শুক্রবার, ১১ Jul ২০২৫, ০৮:১৬ অপরাহ্ন

পর্যটন প্রতিমন্ত্রীর পদে থেকে ও মাহবুব আলী হবিগঞ্জে পর্যটন উন্নয়নে ছিলেন উদাসীন!

পর্যটন প্রতিমন্ত্রীর পদে থেকে ও মাহবুব আলী হবিগঞ্জে পর্যটন উন্নয়নে ছিলেন উদাসীন!

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পাহাড় টিলা হাওর বন, হবিগঞ্জের পর্যটন।  এই ধ্রুব সত্যের অপলাপ করা হয়েছে।এই বাস্তবতা এড়িয়ে গিয়ে পর্যটন প্রতিমন্ত্রী চুনারুঘাট- মাধবপুর বাসীর সাথে প্রতারনা করেছেন। হবিগঞ্জ ৪ আসনের ৩ বারের সংসদ সদস্য ও পর্যটন ও বিমান প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট মাহবুব আলী পর্যটন মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বে থেকেও হবিগঞ্জে পর্যটন খাতে কোন কাজই করেননি। জেলার চুনারুঘাট,  বানিয়াচং,  আজমিরীগঞ্জ,  মাধবপুর  উপজেলায় পর্যটন কেন্দ্র  গড়ে তোলার পর্যাপ্ত সুযোগ ও সম্ভাব্যতা থাকা সত্বেও  প্রতিমন্ত্রীর এসব দিকে কোন নজরই ছিল না। তিনি ৫ বছর  পর্যটন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করলেও এদিকে তিনি ছিলেন অমনোযোগি । পর্যটন প্রতিমন্ত্রীর এপিএস বেলাল ও এপিএস এর পিতা রহম আলী এবং তাঁর স্ত্রী র পরামর্শ – নির্দেশ ছাড়া বা কোন লাভ না হলে চুনারুঘাট মাধবপুরে কোন উন্নয়ন মূলক কোন কাজ করতেন না। মাধবপুর উপজেলার ঐতিহাসিক তেলিয়াপাড়া, সুরমা চা বাগান এলাকা, শাহজীবাজার, চুনারুঘাটের রেমা কালেঙ্গা অভয়ারন্য, সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান, বানিয়াচংয়ের সাগর দীঘি, সোয়াম ফরেষ্ট সহ আজমিরিগঞ্জ-বানিয়াচয়ের জলরাশি অবলোকন করতে অনেক ভ্রমন পিপাসোদের আগমন ঘটে থাকে। অনেকগুলো পর্যটন স্পট থাকা সত্বেও হবিগঞ্জের কৃতি সন্তান বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী কোন উদ্যোগই নেননি। ” পাহাড় টিলা হাওর  বন হবিগঞ্জের পর্যটন ” শ্লোগানটির যথার্থতা উপলব্দি করতে পারেন নি। এর কারন ছিল নগদ প্রাপ্তিযোগ। যেখানে নগদ,  কাড়ি কাড়ি টাকা সেখানেই  এপিএস বেলাল, এপিএস বেলালের বাবা রহম আলী ও সহধর্মীনি মৌমাছির মত উড়ে গিয়ে মধু আহরন করছেন। বর্তমান অর্ন্তবর্তী সরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্টিত থাকলেও দূনীর্তিবাজ মন্ত্রী আমলাদের ব্যাংক হিসাব তলব, জব্দ করলেও এখনো সাবেক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী এবং তার স্ত্রী সহ সহযোগীদের ব্যাংক হিসাব তলব বা জব্দ করা হয়নি। এ্যাডভোকেট মাহবুব আলীর স্ত্রীর অষ্ট্রেলিয়া, মালেয়েশিয়া সহ বিভিন্ন দেশে এবং বাংলাদেশে স্থাবর অস্থাবর অনেক সম্পদ অর্জন করলেও এখনো সরকার কোন দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহন করতে দেখা যায়নি। স্থানীয়দের দাবী হবিগঞ্জ ৪ আসনের এমপি সাবেক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী ভদ্রলোকের মুখোশের আড়াঁলে ভোটার বিহীন নির্বাচনে সংসদ সদস্য ও প্রতিমন্ত্রীর পদবী ব্যবহার করে দেশে বিদেশে নিজ নাম ও স্ত্রীর নামে কোটি কোটি টাকার সম্পদ করেছেন। সমাজের এমন সব মানুষের সাথে তিনি ও তার স্ত্রীর সম্পর্ক তা ভাবতেও ঘৃনা করেন অনেকে। তার পিতা মরহুম মাওলানা আছাদ আলীর সন্তান হয়ে তিনি অর্থের মোহে জনগনের ভোটের অধিকার হরণ করে হাজার কোটি টাকার মালিক বনেছেন।
উল্লেখ্য দেশের বৃহত্তর দ্বীতিয় অভারন্য রেমা কালেঙ্গা যাওয়ার সড়কটিও তিনি বিগত ১৫ বছরে সংস্কার করতে পারেননি। তাহলে ভালো মানুষের ভান করে নিজেকে সমাজে প্রতিষ্টিত করার অর্থ কি দাড়ায় তা এখন জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved 2024 DailyBijoyerProtiddhoni
Design & Developed BY ThemesBazar.Com