স্টাফ রিপোর্টার॥ চুনারুঘাট পৌরসভার হাতুন্ডা মৌজায় মৌরসী সম্পত্তির ৬৫ শতক জমি নিজেদের দাবি করে হবিগঞ্জ সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ৩২ জনের স্বাক্ষরিত এজাহারে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), চুনারুঘাটের ইউএনও, ও সহকারী কমিশনার ভূমিকে বিবাদী করা হয়েছে। বাদী পক্ষের প্রথম স্বাক্ষরকারী নুরচাঁন বলেন, হাতুন্ডা মৌজায় ১৯৩ এস এ দাগে ৩১ শতক পুকুর রকম ভূমিতে মৎস্য চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। অন্যদিকে ১৯০ এস এ দাগে ৩৪ শতক ভূমিতে বসত ঘর সহ শাক-সবজি এবং গাছ-গাছালি নিজেদের দখলে রয়েছে। বাদীপক্ষের অভিযোগ উভয় দাগে মাঠ পর্চা তাদের নামে দেওয়া হয়। সম্প্রতি বাদীপক্ষ সরকারি খাজনা দিতে গিয়ে দেখেন যে, ফাইনাল পর্চায় তাদের নাম না দিয়ে বা তাদের নামে রেকর্ডভূক্ত না করে ২/১ নং আরএস খতিয়ানে রেকর্ডভূক্ত করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে বর্তমানেও উক্ত ৬৫ শতাংশ ভূমি বাদীপক্ষের দখলে বা জিম্মায় রয়েছে মর্মে মামলার আরজিতে বলা হয়েছে। মামলায় বাদীপক্ষের স্বাক্ষরকারীরা হলেন মৃত এফাজত উল্লাহর কন্যা মোছাঃ নুরচাঁন, মৃত আব্দুর রশিদের ওয়ারিশান যথাক্রমে মোছাঃ রাজিয়া খাতুন, মোছাঃ সাফিয়া খাতুন, সেলিনা খাতুন, আকলিমা আক্তার, আব্দুল জাহির, আবু তাহের, আব্দুর রহমান, বাছির মিয়া, আজগর মিয়া। আব্দুল আজিজের ওয়ারিশান আব্দুল আহাদ, ফাতেমা খাতুন, কলসুমা খাতুন। আব্দুর রেজাকের ওয়ারিশান যথাক্রমে ঃ জমিলা খাতুন, জেসমিন আক্তার, রোমন মিয়া। আব্দুল হকের ওয়ারিশান যথাক্রমে ঃ রহিমা খাতুন, দিলারা খাতুন, ইয়াছমিন আক্তার, শারমিন আক্তার, নাইম ইসলাম এবং গোলাপ চাঁনের ওয়ারিশান আব্দুর রউফ, আব্দুল সালাম, আব্দুল শুকুর, জবেদা খাতুন, সুফিয়া খাতুন, আফিয়া খাতুন, আবুল কালাম ও আফিলা খাতুন। উক্ত ৩২ জনের স্বাক্ষরিত মামলাটি দায়েরের পর গত ২৭ জুলাই সহকারী জজ আদালত হতে ৪ জন বিবাদী তথা জেলা প্রশাসক হবিগঞ্জ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), উপজেলা নির্বাহী অফিসার চুনারুঘাট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে আগামী ১ মাসের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইতিপূর্বে উক্ত ৪ জনকে বিবাদী করে একই অভিযোগে অভিযুক্ত করে ২২ জন স্বাক্ষরিত ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইবুন্যালে আরও একটি মামলা করা হয়েছে। বাদীদের দাবি, উপজেলা প্রশাসন তথা উপজেলা ভূমি অফিসের নিজস্ব জায়গাটুকু একই বাউন্ডারির ভিতরে বিদ্যমান। এর পিছনে পশ্চিম পাশে উক্ত বাদীগণের নালিশা ভূমি অবস্থিত। বাদীগণ যুগ যুগ ধরে পুকুরে মাছ চাষ ও পাশের জমিতে গাছ-গাছালিসহ ফসল ফলিয়ে ভোগ করছেন। অথচ ইদানীং কালে উপজেলা প্রশাসন তাদের সরকারি জমি দাবি করে ভোগ দখলের চেষ্টা করছেন। বাদীগণ তাদের পৈতৃক ও মৌরসী সম্পত্তি দাবি করে দখলে রাখার মরণপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে করে উপজেলা প্রশাসন বনাম স্থানীয় বসতিদের মাঝে যে কোনো প্রকার সংঘর্ষ কিংবা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশংকা রয়েছে।
Leave a Reply