শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ০৬:৫৯ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
কাকাইলছেও- রসুলপুর সড়ক বর্ষা মৌসুমে  চলাচলে চরম দুর্ভোগ মালয়েশিয়ায় আজমিরীগঞ্জের প্রবাসী মহিবুরের মৃত্যু শোকার্ত পরিবার সাবেক এমপি মজিদ খানের পুকুরপাড়ে বজ্রনিরোধক যন্ত্র শেখ হাসিনা ও মাহবুব আলীসহ ৫ জনের বিরোদ্ধে মামলার প্রস্তুতি অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে বাংলাদেশ হবিগঞ্জ বৈষম্য বিরোধী ছাত্রজনতার আন্দোলনে পুলিশের ভুমিকা মাধবপুরে ৫২ মাদক কারবারি গ্রেফতার॥ মূলহোতারা এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে মাধবপুরের আজহার কিশোরগঞ্জে ৪০ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার ৩ হবিগঞ্জে সরকারী কলেজ শিক্ষকদের মতবিনিময় সভা জেলা কমিটি গঠন মাদক, বাল্য বিবাহ ও ইন্টানেটে আসক্তি প্রতিরোধে শিক্ষার্থীদের শপথ
বাহুবলে ঝুকিপূর্ণ কাঠের সাঁকো দিয়ে চলছে ক্লিনিকের সেবা

বাহুবলে ঝুকিপূর্ণ কাঠের সাঁকো দিয়ে চলছে ক্লিনিকের সেবা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাহুবল উপজেলার স্নানঘাট ইউনিয়নের প্রায় ৩০-৩৫ হাজার জনগণ সরকারের স্বাস্থ্যসেবা নিতে হয় ঝুকিপূর্ণ কাঠের সাঁকো পারাপার হয়ে। প্রায় চার বছর পূর্বে (২০২০ সালে) নির্মাণ করা হয় স্নানঘাট কমিউনিটি ক্লিনিক। ক্লিনিকটি স্নানঘাট ইউনিয়ন পরিষদ এবং স্নানঘাট বাজারের পাশে, পুটিজুরী-স্নানঘাট সড়কের দক্ষিণে একটি খালের পাশে অবস্থিত।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঝুকিপূর্ণ কাঠের উপর ভর করে ক্লিনিকে যেতে হয়। স্থানীয়দের তথ্য মতে জানা যায়, ক্লিনিক নির্মাণের চার বছর অতিবাহিত হবার পরেও ক্লিনিকের সংযোগ ব্রীজ এখনো করা হয়নি! এ নিয়ে স্থানীয় জনগণ ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
ক্লিনিকে সেবা নিতে আসা আয়মনা বিবি জানান, আমরা চার বছর অনেক কষ্ট করে ক্লিনিকে গিয়ে ঔষধপাতি নিয়ে আসি । তিনি ক্ষোব প্রকাশ করে জানান, চার বছরে আমাদের এলাকার অনেকই বাচ্চা নিয়ে সাঁকো থেকে খালে পড়ছে! আহত ও হইছে! সাঁকো আমরা অনেকেই পার হতে পারি না,যারা পারে তারা ও অনেক ঝুকি নিয়ে ক্লিনিকে যায়। গর্ভবতী মহিলারা অনেক কষ্ট করে সাঁকো পার হয়। তিনি সেই সময় একটা নতুন ব্রিজের দাবী জানান।
ক্লিনিকের সিএইচসিপি অফিসার বিজন সূত্রধর জানান, প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ জন ক্লিনিকে সেবা নিতে আসে। জটিল রোগ যেমন যক্ষ্মা, গর্ভবতী রোগী ও আসে।
ক্লিনিকের ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সাঁকো সম্পর্কে জানতে চাইলে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ তোফাজ্জল হোসেন রাহিম জানান, কাঠের সাঁকোর পরিবর্তে নতুন ব্রিজের টেন্ডার হয়েছে দুইবার ফেরদৌস চেয়ারম্যানের আমলে একবার আর আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী এমপি’র আমলে আরেক বার। তবে কেন ব্রিজ হচ্ছে না তা তিনি জানেন না। পিআইও অফিসে দ্বিতীয় ধাপের বরাদ্দ আছে বলে অবিহিত করেন।
তবে এ বিষয়ে জানার জন্য পিআইও আফিসে যোগাযোগ করলে জানা যায়, ক্লিনিকের নামে কোনো বরাদ্দ ২০২০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত আসে নাই। ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ তোফাজ্জল হোসেন রাহিম এই তথ্য কোথায় পেলেন এই বিষয়ে জানার জন্য পরবর্তীতে ওনার মোবাইলে বার বার কল করলে ও কল রিসিভ হয়নি!
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনজুর আহসান আশ্বাস দেন, ক্লিনিকের নামে বরাদ্দ না আসলেও ওনার বরাবর স্থানীয় লোকজন লিখিত আবেদন করলে পিআইও’র মাধ্যমে একটি ব্রীজের ব্যবস্থা করে দিবেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved 2024 DailyBijoyerProtiddhoni
Design & Developed BY ThemesBazar.Com