স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রবাসী অধ্যুষিত এবং দেশে বিদেশে অনেক ঞ্জানীগুণী মানুষের জন্মস্থান এই উপজেলা। সাম্প্রতিক দু’জন সংবাদকর্মীর দ্বন্ধের ঘটনা নিয়ে উপজেলা রণক্ষেত্রে পরিণত হবে তা ভাবলেও শিহরিত হয়ে উঠতে হয়। কি ছিল সেই বিরোধ? দুপক্ষ সমজোতায় বসে বিষয়টি নিরসন করা অসম্ভব কিছু ছিলনা বলে অনেকেই আক্ষেপ করেন। তা না করে ব্যবসা প্রতিষ্টানে হামলা, লুটপাঠ, অগ্নিসংযোগ, মানুষ হত্যার মত ন্যাক্কার জনক ঘটনা ঘটেছে। বিশেষ করে শ্রমজীবি সহ বিভিন্ন পেশার মানুষ এমনকি শিক্ষার্থী, পরীক্ষার্থী সহ সাধারন মানুষের যে দূর্ভোগ সৃষ্টি করা হয়েছে তা কতটুকু সঠিক। শুরু থেকেই উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ,র্যাব, সেনা বাহিনী প্রাণপণ চেষ্টা করেও ঘটনাটির নিষ্পত্তি করতে ব্যর্থ হয়েছে। শেষ পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করতেও বাধ্য হয় প্রশাসন। শুরুর দিকে স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, এলাকার বিশিষ্ট মুরুব্বিয়ান উভয় পক্ষকে নিবৃর্ত্ত করার চেষ্টা করলেও পরবর্তীতে তারা নিস্ক্রীয় হয়ে পড়েন। যে কারনে গত ছয় দিনেও প্রাণঘাতি এই সংঘর্ষের সমাপ্তি না ঘটে দিন দিন প্রসারতাই বৃদ্ধি পেতে দেখা গেছে। গ্রাম্য আধিপত্য, কে কার চেয়ে বেশী ক্ষমতাশালী তা প্রমাণ করতেই এই অমানবিক মহড়া।
ইতিপূর্বে এ উপজেলায় এহেন আরো এ ধরনের ঘটনা যে ঘটেনি তা নয়। সেই সব ঘটনাবলীও স্থানীয় মুরুব্বিয়ান, রাজনৈতিক নের্তৃবৃন্দ সহ সাধারন জনগণই নিরসন করার অনেক নজির রয়েছে। তবে সাম্প্রতিক এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা নিরসনে স্থানীয় মুরুব্বিয়ান, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নের্তৃবৃন্দ কেন এক সারিতে এসে এই নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যার্থ হচ্ছেন। না এখানেও সরিষায় ভূত বিরাজ করছে। এ পর্যন্ত আইন শৃংখলা বাহিনী ধর্য্যের সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করে আসছে। ব্যবসা প্রতিষ্টান,হাসপাতাল, ক্লিনিকে লুটপাঠ অগ্নিসংযোগে যারা চরম ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন তাদের দায় কে নেবে ? ব্যবসায়ী সংগঠন বলছে ক্ষতিগ্রস্থদের দেখভাল করবে, পাশে দাড়াবে। কিন্তুু যারা যাদের বিষয় সম্পদ হারিয়েছে, তা কি পূরণ সম্ভব ? সাধারণ মানুষের জানমাল, স্বাভাবিক জীবনাচার স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে আর কত সময় অপেক্ষার প্রহর গুনতে হবে তারও কোন নিশ্চয়তা নেই। স্থানীয় নের্তৃবৃন্দ, নবীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ এগিয়ে না আসলে প্রশাসনের পাশে না দাঁড়ালে সৃষ্ট এই ঘটনা সহসা নিরসন বা স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসা এক সময় অসম্ভবই হয়ে পড়ার আশংকা রয়েছে।
এ বিষয়টির প্রতি নবীগঞ্জের যারা বিভিন্ন দেশে প্রবাস রয়েছেন, ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যেসব ঞ্জানীগুণী, দায়িত্বশীল পদে অধিষ্টিত রয়েছেন,তাঁদের আশু হস্তক্ষেপ জরুরী। নবীগঞ্জ উপজেলার ঐতিয্য দেশের সীমানা ছাড়িয়ে ভিন দেশেও রয়েছে। দু’ জন সাংবাদিকের দ্ধন্ধ এলাকায় বিরুপ প্রতিক্রয়ার সৃষ্টি করে সাধারন মানুষের জানমাল, স্বাভাবিক জীবনাচার ব্যাহত করা শুধু অমানবিকই নয়, গোটা উপজেলাবাসীর কলংকও। শুরু থেকেই প্রশাসন যে ধৈয্য ও সহানুভূতির সাথে ঘটনাটি নিস্পতির উদ্যোগ নিয়েছে তা প্রশংসারই দাবী রাখে। নবীগঞ্জ উপজেলার রাজনীতিবিদ, বিশিষ্ট মুরুব্বিয়ান এ মূহুর্তে এগিয়ে এসে বিষয়টির পরিসমাপ্তি ঘটাবেন এমন প্রত্যাশাই সর্বস্থরের মানুষের।
Leave a Reply