আজমিরীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা মোঃ শুকুর আলী (৫০) জরুরি বিভাগে দীর্ঘ একঘন্টা অপেক্ষার পরও কর্তব্যরত চিকিৎসকের দেখা পায়নি। জরুরি বিভাগের সেলফোন (০১৭৩০৩২৪৭২৮) বন্ধ পাওয়া যায়। অবশেষে সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। মারা যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক এসে মৃত ঘোষণা করেন। এ নিয়ে রোগীর স্বজনরা উত্তেজিত হয়ে হাসপাতালের চিকিৎসক সহ কর্মচারীদের সহিত বাক-বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে হামলা ভাংচুরের মত বেগতিক অবস্থার সৃষ্টি হয়। এদিকে খবর পেয়ে থানার পুুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শুক্কুর মিয়া বদলপুরের পিটুয়ারকান্দির বাসিন্দা মৃত রজব আলীর পুত্র।
স্থানীয় ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বদলপুরের পিটুয়ারকান্দি গ্রামের বাসিন্দা মৃত রজব আলীর পুত্র শুকুর আলীর গতকাল সোমবার সন্ধ্যার পর শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। স্বজনরা তাকে রাত সোয়া ৮টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে। কিন্তু জরুরি বিভাগে কয়েকজন রোগী ছাড়া হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ওয়ার্ডবয়সহ কাউকে পায়নি তারা। অবশেষে ওই বিভাগের সেলফোনের জরুরি নম্বরে কল করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। স্বজনরা এদিক ওদিক ছুঁটাছুটি করে কারও দেখা পায়নি। এদিকে রোগীর অবস্থার অবনতি হতে থাকে। দীর্ঘ ১ ঘন্টা যাবৎ চিকিৎসকের অপেক্ষায় থেকে অবশেষে চিকিৎসা না পেয়েই রাত ৯টা ১০ মিনিটে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে শুকুর মিয়া। এ সময় রোগীর স্বজনরা উত্তেজিত হয়ে উঠে। রোগীর মৃত্যুর আরও ২০ মিনিট পর কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ জুলফিকার নাঈম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে রোগীকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় স্বজনদের সহিত চিকিৎসক ও কর্মচারীদের বাক-বিতন্ডা বাঁধে। এক পর্যায়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। এদিকে খবর পেয়ে থানার এসআই শুভ ও এএসআই জসীমের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ডাঃ জুলফিকার নাঈম জানায়, জরুরি নম্বর সম্বলিত সেলফোন পানিতে পড়ে যাওয়ায় এটি বন্ধ আছে।
Leave a Reply