বৃহস্পতিবার, ১০ Jul ২০২৫, ১২:২০ পূর্বাহ্ন

শায়েস্তাগঞ্জে ঝুঁকিপূর্ণ আল সোহাগ হোটেল ॥ মালিকের পলায়ণ

শায়েস্তাগঞ্জে ঝুঁকিপূর্ণ আল সোহাগ হোটেল ॥ মালিকের পলায়ণ

নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ শায়েস্তাগঞ্জে দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে আল সোহাগ হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট নামে একটি রেস্তোরা। ৮ বছর আগে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভা কর্তৃপক্ষ ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে ভবন মালিককে রেস্টুরেন্ট স্থানান্তর ও ভবন অপসরণ করার জন্য নোটিশ দিলেও এখনো অপসারণ করা হয়নি রেস্টুরেন্ট ও ভবনটি। গতকাল রবিবার সকালে ভবনের একাধিক স্থানের ছাদ খসে পড়লে নতুন করে তৈরি হয় আতঙ্ক। অপসারণের নোটিশ জারির ৮ বছরেও কেন ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি অপসারণ করা হয়নি কিংবা রেস্টুরেন্ট স্থানান্তর করা হয়নি তা খতিয়ে দেখে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি সচেতন মহলের।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে নাস্তা করার জন্য গ্রাহকরা প্রতিদিনের ন্যায় হোটেলে বসা ছিলেন। এসময় হঠাৎ ছাদের দুইটি অংশ খসে পড়ে। এতে কয়েক জন গ্রাহক হাতে ও মাথায় কিছুটা আঘাত প্রাপ্ত হন। অন্যান্যরা ভয়ে হোটেল থেকে দৌড়ে বের হয়ে যান। পরবর্তীতে হোটেল মালিক কর্তৃপক্ষ হোটেল বন্ধ করে গা ঢাকা দেন।
জানা যায়, শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার দাউদনগর বাজারে আল সোহাগ হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট নামে একটি রেস্তোরা পরিচালনা করে আসছেন আব্দুল বাছির নামে এক ব্যক্তি। রেস্টুরেন্টের ওই ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর অপসারণের জন্য ভবন মালিক কিম্মত আলীকে নোটিশ করেন পৌরসভার তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে ওই ভবনটি অপসারণ করা হয়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, পৌরসভা থেকে ভবন অপসারণের নোটিশ জারির পর ভবনটির ভাড়াটিয়া হোটেল মালিক আব্দুল বাছির তৎকালীন পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ছালেক মিয়াকে মোটা অংকের চাঁদা দিয়ে টিকিয়ে রাখেন ভবনটি। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতাকর্মীকে ম্যানেজ করে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চালিয়েছেন রেস্তোরা ব্যবসা।
তানভীর মিয়া নামে এক ব্যক্তি বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে কিভাবে রেস্টুরেন্ট ব্যবসা চলছে তা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি দ্রুত ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি অপসারণ করা জরুরী। অন্যথায় যেকোনো সময় প্রানহানির ঘটনা ঘটতে পারে।
এ বিষয়ে ভবনের ভাড়াটিয়া আল সোহাগ হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের মালিক আব্দুল বাছিরের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ভবনের ছাদের কিছু অংশ খসে পড়লেও কোন ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার পল্লব হোম দাসের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি সম্প্রতি দায়িত্ব নিয়েছি। পৌরসভার প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved 2024 DailyBijoyerProtiddhoni
Design & Developed BY ThemesBazar.Com