স্টাফ রিপোর্টার ॥ জলমহালের পাহারাদার রঙিলা মিয়াকে (৫০) নির্মমভাবে হত্যা করে মরদেহে পাথর বেঁধে ফেলে দেওয়া হয় পানিতে। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় একের পর এক ধরা পড়ছে আসামিরা। বানিয়াচং থানার মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন, নোয়াপাথারিয়ার তিন সহোদর জাহাঙ্গীর মিয়া, খেলন মিয়া ও আফাই মিয়া, একই গ্রামের মোতালিব মিয়া, আশিক মিয়া, খেলু মিয়া, পুরান পাথারিয়ার মহিবুর মিয়া, উমেদনগরের মোস্তফা মিয়া, কাউরিয়া কান্দির সিরাজুল ইসলাম ও কেন্দুয়া গ্রামের আহাদ মিয়া। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাত আরো ৫/৬ জনকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১৪ জুলাই সন্ধ্যায় নিখোঁজ হন হবিগঞ্জ পৌরসভার উমেদনগরের বাসিন্দা রঙিলা মিয়া। কামরূপ জলমহালে মাছ চাষ করতেন তিনি। প্রতিদিনের মতো সেদিনও পাহারায় গিয়েছিলেন। এরপর আর ফিরে আসেননি। পাঁচ দিন পর, ১৯ জুলাই সোনাডুবি বিল থেকে উদ্ধার হয় তার মরদেহ। কোমর ও পায়ে ভারি পাথর বাঁধা ছিল, শরীরে ছিল নির্যাতনের চিহ্ন। তদন্তে উঠে এসেছে, নিখোঁজ হওয়ার কয়েক দিন আগেই জলমহালে হাঁস ঢুকে পড়া নিয়ে খামারি জাহাঙ্গীর মিয়ার সঙ্গে রঙিলার ঝগড়া হয়। ওই সময় কয়েকটি হাঁস মেরে ফেলেন রঙিলা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয় বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে। বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘ঘটনার রহস্য উদঘাটনে গ্রেফতারকৃতদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। বাকি আসামিদের ধরতেও অভিযান চলছে।
Leave a Reply