বিজয় ডেক্স ॥ চলতি ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা গতকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশ করা হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী-এবারও তিনটি ধাপে ভর্তির আবেদন নেওয়া হবে। প্রথম ধাপে অনলাইন আবেদন শুরু হবে আগামী ৩০ জুলাই। এ ধাপে আবেদন প্রক্রিয়া চলবে ১১ আগস্ট পর্যন্ত। ভর্তির জন্য কোন বাছাই বা ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে না। কেবল শিক্ষার্থীর এসএসসি বা সমমান পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে। প্রথম ধাপের ফল প্রকাশ করা হবে ২০ আগস্ট রাত ৮টায়। এরপর পর্যায়ক্রমে ২৩ থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত দ্বিতীয় ধাপের আবেদন গ্রহণ ও ২৮ আগস্ট ফল প্রকাশ এবং ৩১ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তৃতীয় ধাপের আবেদন গ্রহণ ও ৩ সেপ্টেম্বর ফল প্রকাশ করা হবে। ভর্তি কার্যক্রম চলবে ৭ থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার বিকালে এ নীতিমালা প্রকাশ করা হয়। এতে সই করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সরকারি কলেজ-১ শাখার উপসচিব মো. আব্দুল কুদদুস। নীতিমালায় বলা হয়েছে- অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে ভর্তি ফি ২২০ টাকা; শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতি শিক্ষার্থীর নিকট থেকে রেড ক্রিসেন্ট ফি বাবদ ২৪ টাকা গ্রহণ করবে; বার্ষিক ক্রীড়া মঞ্জুরি ফি বাবদ চারশ টাকা বোর্ডে পাঠাতে হবে। এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার জন্য বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনে ৫ হাজার টাকা, ঢাকার বাইরে মেট্রোপলিটন এলাকার জন্য তিন হাজার টাকা, জেলা পর্যায়ে দুই হাজার এবং উপজেলা/মফস্বলের জন্য দেড় হাজার টাকা সেশন চার্জ ও ভর্তি ফি গ্রহণ করা হবে। নন এমপিও/আংশিক এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উন্নয়ন ফি, সেশন চার্জ ও ভর্তি ফি হলো- ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার জন্য বাংলা ভার্সনে সাড়ে ৭ হাজার ও ইংরেজি ভার্সনে সাড়ে ৮ হাজার, ঢাকার বাইরে মেট্রোপলিটন এলাকার জন্য বাংলা ভার্সনে ৫ হাজার এবং ইংরেজি ভার্সনে ৬ হাজার, জেলা পর্যায়ে বাংলা ভার্সনে তিন হাজার ও ইংরেজি ভার্সনে ৪ হাজার এবং উপজেলা/মফস্বলে বাংলা ভার্সনে আড়াই হাজার ও ইংরেজি ভার্সনে তিন হাজার টাকা। রাখা হয়নি জুলাই গণঅভ্যুত্থান কোটা, মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল। এবারের ভর্তি কার্যক্রমে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আন্দোলনকারীদের জন্য কোনো কোটা রাখা হয়নি। তবে, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের জন্য থাকছে ৫ শতাংশ কোটা। এছাড়াও শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ দফতরে কর্মরতদের পুত্র সন্তানদের জন্য ২ শতাংশ কোটা থাকবে। এ বিষয়ে নীতিমালায় বলা হয়- কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানের ৯৩% আসন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে যা মেধার ভিত্তিতে নির্বাচন করা হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ১% এবং অধীনস্থ দপ্তর/সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সন্তানদের ক্ষেত্রে ১% সহ মোট ২% আসন মহানগর, বিভাগীয় ও জেলা সদরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য ন্যূনতম যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে সংরক্ষিত থাকবে। যদি আবেদনকারীর সংখ্যা বেশি হয় সেক্ষেত্রে তাদের নিজেদের মধ্যে মেধার ভিত্তিতে ভর্তির সুযোগ পাবে। আবেদনের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মচারী কর্তৃক দপ্তর প্রধানের প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা নিজস্ব দপ্তরের প্রধান হলে সেক্ষেত্রে তাঁর একধাপ উপরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে হবে। মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যার ভর্তির জন্য ৫% আসন সংরক্ষিত থাকবে। মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যাদের আসন নির্ধারণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রমাণপত্র/গেজেটের সত্যায়িত কপি আবেদনপত্রের সাথে সংযুক্ত করতে হবে এবং ভর্তির সময় মূল কপি প্রদর্শন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় হতে ইস্যুকৃত মুক্তিযোদ্ধা সনদ যথাযথভাবে যাচাই করে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা পাওয়া না গেলে মেধা তালিকা থেকে উক্ত আসনে ভর্তি করতে হবে। কোনো অবস্থায় আসন শূন্য রাখা যাবে না। সমান জিপিএ প্রাপ্তদের ক্ষেত্রে সর্বমোট প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারণ করা হবে। বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এর ক্ষেত্রে গ্রেড পয়েন্ট ও প্রাপ্ত নম্বর সমতুল্য করে হিসাব করতে হবে। তাছাড়া বিভিন্ন সালের গ্রেড পয়েন্ট ও প্রাপ্ত নম্বর সমতুল্য করে হিসাব করতে হবে।
Leave a Reply