বিশেষ প্রতিনিধি ॥ চুনারুঘাট সীমান্তে জহুর আলীর মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে ঘটনাস্থলের আশপাশের বাড়ি ঘরের বিভিন্ন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন ওসি নুর আলম ও ওসি তদন্ত শফিকুল ইসলাম। ওই দুই কর্মকর্তা সন্দেহজনক এক ব্যক্তির বাড়িতে তল্লাশিও করেছেন। মঙ্গলবার গাজীপুর ইউনিয়নের ডুলনা গ্রামের বৃদ্ধ জহুর আলী (৬০) এর ব্যবহৃত স্যান্ডেল, মোবাইল ও মাফলার যেখানে পড়েছিলো সেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেছেন তারা। যারা জহুর আলীকে অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকতে দেখেছিলেন তাদের মধ্যে অনন্ত, বাবুল মিয়াসহ আরও ৮/১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। তদন্ত চলাকালে নিহত জহুর আলীর পুত্র ওলি মিয়া, ইউপি সদস্য মালেক মেম্বারও সাথে ছিলেন।
এদিকে জহুর আলী কিভাবে সীমান্ত এলাকায় গেলেন, কিভাবে কাঁটা তারের বেড়া অতিক্রম করলেন, কেন গেলেন সেই রহস্য এখনও অন্ধকারে রয়ে গেছে। ত্রিপুরার খোয়াই হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, মৃতদেহের শরীরে মারাত্মক জখম রয়েছে। তিনি জটিল রোগেও ভোগছিলেন। তবে তার শরীরে বিষ বা মাদকদ্রব্য সেবনের কোন আলামত পাওয়া যায়নি। হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোঃ রেজাউল হক খাঁন সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন এবং জহুর আলীর বিষয়ে এ প্রতিনিধিদের সাথে কিছু সময় কথা বলেছেন। তিনি বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করার জন্য চুনারুঘাট ওসি নূর আলমকে নির্দেশ দেয়ার পর মঙ্গলবার ওসি নূর আলম ও তদন্ত ওসি শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেছেন।
Leave a Reply