শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ০৭:৩৮ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
নবীগঞ্জে লটারির মাধ্যমে ১৩ ইউনিয়নে খাদ্যবান্ধব ডিলার নিয়োগ লাখাইয়ে পুলিশ দেখে ভয়ে পালাতে গিয়ে যুবলীগ নেতার মৃত্যু হবিগঞ্জে ২২ বছর পর হত্যা চেষ্টা মামলার রায়ে ৮ জনই খালাস ভারত থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশকালে হবিগঞ্জের ৩ যুবক আটক মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের অভিযানে গাঁজাসহ কারবারি গ্রেফতার মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে দুদকের হবিগঞ্জ উপ-পরিচালকসহ ৩ সদস্যের অভিযান লাখাইয়ে পার্টানার কংগ্রেস কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবিগঞ্জে ভারতীয় গরু অনুপ্রবেশ নিয়ে শঙ্কায় খামারিরা মাধবপুরে দুনীর্তি প্রতিরোধ কমিটির বির্তক প্রতিযোগিতা বানিয়াচংয়ে সামান্য বৃষ্টিতেই সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা ॥ দেখার যেন কেউ নেই
আজমিরীগঞ্জে কৃষি জমির উর্বর মাটি কেটে নিচ্ছে স্বার্থান্বেষী চক্র ॥ প্রশাসন নির্বিকার

আজমিরীগঞ্জে কৃষি জমির উর্বর মাটি কেটে নিচ্ছে স্বার্থান্বেষী চক্র ॥ প্রশাসন নির্বিকার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় শীতের শুরু থেকে বিভিন্ন হাওরে সরকারি-বেসরকারি, ব্যক্তি মালিকানাধীন কৃষি জমির উপরিভাগের মাটি এক্সেভেটর (ভেকু) দিয়ে কেটে চলছে বিক্রি, পুকুর খনন ও বসত ভিটা নির্মাণ কাজ। গত তিন মাসের বেশি সময় ধরে কৃষি জমি থেকে যন্ত্রদানবের মাধ্যমে এভাবে মাটি উত্তোলন, জমির শ্রেণী পরিবর্তন করা ব্যাপক আকার ধারণ করলেও এ বিষয়ে অনেকটাই ভ্রুক্ষেপহীন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাসহ উপজেলা প্রশাসন।
বিশেষ করে উপজেলার শিবপাশা, বদলপুর ও কাকাইলছেও ইউনিয়নের বিভিন্ন হাওর ও গ্রামের পাশের কৃষি জমির মাটি খননে এই যন্ত্রদানবের তান্ডব যেন বেড়েই চলেছে।
সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী সরকারি খাস ভূমি থেকে মাটি উত্তোলনের ক্ষেত্রে অনুমোদন নেয়া কিংবা ব্যক্তি মালিকানাধীন কৃষি জমিকে পুকুর বা ভিটায় রূপান্তরিত করতে হলে সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিসে আবেদনের মাধ্যমে শ্রেণী পরিবর্তনের অনুমতির বিধান থাকলেও মাটি উত্তোলন ও জমির শ্রেণী পরিবর্তনকারীরা তা মানছেন না। এমনকি মাঝে মধ্যে নামমাত্র অর্থদন্ডে এরা যেন আরো হয়ে উঠছে বেপরোয়া। অভিযোগ রয়েছে ভূমি অফিস ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কিছু অসাধু কর্মচারী এসব মাটি উত্তোলনকারীদের কাছ থেকে অবৈধ সুবিধা নিয়ে তাদের মাটি উত্তোলনের বিষয়টি গোপন রাখেন। এতে করে কৃষি জমি বিলুপ্তির পাশাপাশি কৃষি জমি ফসল উৎপাদনের উর্বরতা হারাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। তবে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কিছু কর্মকর্তার দাবী যখনই খবর পান তখনই গিয়ে তারা ফসলি জমির মাটি কাটায় বাঁধা প্রদান করে আসেন। আবার মাটি কাটার বিষয়ে অবগতই নন অনেক কর্মকর্তা। উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর বলছে, অপরিকল্পিতভাবে জমির উপরিভাগ কাটার ফলে জমি তার উর্বরতা শক্তি হারায়। এবং কৃষি জমির এমন শ্রেণী পরিবর্তন উপজেলায় কৃষি জমির পরিমাণ কমে আসবে। উপজেলার বেশ কটি হাওড় ঘুরে দেখা গেছে, ভেকু মেশিন দিয়ে কোথাও চলছে কৃষি জমির শ্রেণী পরিবর্তন আবার কোন কোন হাওনে চলছে সরকারি খাস ভূমি থেকে মাটি উত্তোলন করে বিক্রি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক কৃষক জানান, মাটি উত্তোলন কারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় ভয়ে অনেকেই এর প্রতিবাদ করেন না। এভাবে মাটি উত্তোলনের ফলে কৃষি জমির উর্বরতা হারানোর পাশাপাশি সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে জানান তারা। উপজেলার শিবপাশা ইউনিয়নের ভূমি কর্মকর্তা সিদ্দিক মিয়া ও কাকাইলছেও ইউনিয়নের ভূমি কর্মকর্তা আবেদ আলী জানান, ইউনিয়নের কোন হাওরে মাটি কাটা হচ্ছে বলে উনাদের জানা নেই। বদলপুর ইউনিয়নের ভূমি কর্মকর্তা সালাম মিয়া বলেন, হিলালপুরের পাশে শ্রেণী পরিবর্তন করে পুকুর নির্মাণের বিষয়টি জানার পর আমি সরজমিনে গিয়ে বাঁধা প্রদান করে আসি এবং ঝিলুয়া হাওর থেকে মাটি কাটতে তাদের নিষেধ করা হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে জানতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিবিড় রঞ্জন তালুকদারের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি। এরপর উক্ত বিষয়ে ক্ষুদেবার্তা পাঠালেও উনার কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved 2024 DailyBijoyerProtiddhoni
Design & Developed BY ThemesBazar.Com