বুধবার, ১৬ Jul ২০২৫, ০৫:০৩ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
মানবিকতার জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত নবীগঞ্জের দুই সাহসী সাংবাদিক দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে শহীদ হন পাঁচ সাংবাদিক সিলেটের তামাবিল দিয়ে ভারতে গেল প্রধান উপদেষ্টার উপহারের আম নবীগঞ্জে প্রাথমিক শিক্ষা ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ফলজ চারা বিতরণ আন্দিউড়া উম্মেতুন্নেসা স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতি তদন্তে দুদক চুনারুঘাটের নারী শ্রমিককে ভৈরবে ধর্ষণ করল কারখানা মালিক শায়েস্থাগঞ্জ ও অলিপুর মহাসড়কের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করল সওজ চুনারুঘাটের আমু বাগানের চা শ্রমিক মায়ের আর্তনাদ ৩০ বছর কারাগাভোগের পর মুক্ত হলেন লাখাই’র কনু মিয়া বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র সফল হবেনা শিক্ষাবৃত্তি অনুষ্ঠানে এসএম ফয়সল
বিশুদ্ধ পানির জন্য গ্রামে গ্রামে চলছে হাহাকার

বিশুদ্ধ পানির জন্য গ্রামে গ্রামে চলছে হাহাকার

নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ চুনারুঘাট উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট। ছড়া নদী-বিল থেকে জমিতে পানির চাহিদা মেটানো গেলেও খাওয়ার পানির জন্য গ্রামে গ্রামে চলছে হাহাকার। বিশেষ করে উজান এলাকায় এই সংকট আরও বেশি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার খোয়াই নদীর পানি শুকিয়ে গেছে। ইছালিয়া ও সুতাং নদীতে এখন পানি নেই। এ ছাড়া পানি উঠছে না গভীর নলকূপেও। এমনকি কোনো কোনো গ্রামে ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর বেশি নিচে নেমে যাওয়ায় মোটরেও পানি তোলা সম্ভব হচ্ছে না। উপজেলার দেওরগাছ গ্রামের আছমা বেগম বলেন, আমাদের এলাকায় কখনো পানির অভাব হবে চিন্তাও করিনি। অথচ এখন টিউবওয়েলে পানি ওঠে না। কয়েক বছর পর হয়তো আর পানিই মিলবে না। উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, নদী ও বিল শুকিয়ে যাওয়ায় বোরো জমিতে সেচের জন্য তোলা হচ্ছে ভূ-গর্ভস্থ পানি। উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার প্রায় ৪ হাজার গভীর ও অগভীর নলকূপের মাধ্যমে বোরো জমিতে সেচ দিচ্ছে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, গ্রামে গ্রামে এখন বোরো ধানের জন্য বসানো শক্তিশালী সেচ প্রকল্পগুলো ভূ-গর্ভস্থ পানি টেনে নিচ্ছে। যে কারণে গ্রামের নলকূপগুলোতে পানি উঠছে না।
সাটিুয়াজুরী এলাকার কাজী সুজন বলেন, আমাদের এলাকায় নদী না থাকায় জমিতে সেচ নিয়ে সমস্যা হয়। নেই খাল-বিলের পানি। গ্রামের চারপাশে অনেকগুলো সেচ প্রকল্প বসানো হয়। এগুলো মাটির নিচ থেকে পানি টেনে নেওয়ায় গ্রামের টিউবওয়েলগুলোতে পানি উঠছে না। কৃষক আব্দুল মালেক বলেন, গ্রামের কোনো টিউবওয়েলেই পানি ওঠে না। যাদের গভীর নলকূপ আছে, তাদের বাড়িতে কিছুটা পানি ওঠে। সাংবাদিক নুরুল আমিন বলেন, চারপাশের নদী, খাল-বিল ভরাট হয়ে গেছে। এসব জলাশয় শুকিয়ে যাওয়ায় জমিতে সেচের জন্য ভূ-গর্ভস্থ থেকে পানি তোলা হচ্ছে। ফলে ভূ-গর্ভস্থ পানি নিচে নেমে গেছে। এতে পানির এই সংকট দেখা দিয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহিদুর ইসলাম বলেন, কৃষিজমিতে সেচের কারণে শুষ্ক মওসুমে পানির সংকট দেখা দেয়। আমাদের উপজেলায় বোরো ফসল পুরোটাই সেচ নির্ভর। তাই বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত পানির সংকট থাকবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved 2024 DailyBijoyerProtiddhoni
Design & Developed BY ThemesBazar.Com