স্টাফ রিপোর্টার ॥ ধরা ছোঁয়ার বাহিরে রয়ে যা”েছন লাখাই উপজেলা যুবলীগ নেতা ও ৩নং মুড়িয়াউক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নোমান সারওয়ার জনি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঠেকাতে হবিগঞ্জ সদর আসনের সাবেক এমপি নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামীলীগের হবিগঞ্জ জেলা সভাপতি আবু জাহিরের অন্যতম সহযোগি ছিলেন নোমান। এমনকি আবু জাহিরের বাসা পাহাড়া দেয়ার কাজেও নিয়োজিত ছিলেন তিনি। লাখাই উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামীলীগের লাখাই থানার সাবেক সভাপতি মুশফিউল আলম আজাদের অন্যতম সহযোগি হিসাবে লাখাই উপজেলা ও হবিগঞ্জ জেলায় অবৈধ ক্ষমতার দাফট ছিল নোমান চেয়ারম্যানের। আওয়ামীলীগের পতনের পর কিছুদিন নিজেকে আড়ালে রাখলেও বর্তমানে দিব্বি চলাফেরা করছেন ইউপি চেয়ারম্যান নোমান সারওয়ার। অভিযোগ রয়েছে তদবীরে পার পেয়ে যা”েছন তিনি। তাতে এলাকায় মারাত্বক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ছাত্র আন্দোলনে ভূমিকা রাখা ছাত্র নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ আওয়ামীলীগের দুসর নোমান সারওয়ারকে গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছেন। নোমান সারওয়ারের পিতা আব্দুস শহিদ ছিলেন লাখাই উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান। নোমান সারওয়ারের মাতা নুরুন্নাহার ছিলেন লাখাই উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ও উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান। নোমান সারওয়া ছাত্রলীগের লাখাই থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালনের পর লাখাই উপজেলা যুবলীগের সহ সভাপতি ও পরে কার্যকরী কমিটির সদস্য হন। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকাকালে অবৈধ মাটির ব্যবসা ছিল তার অন্যতম ব্যবসা। নোমান সারওয়ারের বিরুদ্ধে অনলাইনে জুয়া খেলার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। বর্তমানেও নোমান সারওয়ারে লাখাই এলাকা ধাপিয়ে বেড়া”েছ বলে অভিযোগ রয়েছে। নোমান সারওয়ার পুলিশের এসআই কাঞ্চন দাস হত্যা মামলার অন্যমত আসামী। তাছাড়া সিংহ গ্রামের কদম আলী ও তেঘরিয়া গ্রামের বোরহান হত্যা মামলার এজাহারভূক্ত আসামী। এলাকায় দাঙ্গা সৃষ্টির অভিযোগে নোমান সারওয়ারের বিরুদ্ধে আরও অন্তত এক ডজন মামলা রয়েছে। কাবিখা দুর্নীতির অভিযোগে নোমান সারওয়ারের বিরুদ্ধে দুদক আইনে মামলা রয়েছে। নোমান সারওয়ারকে গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
Leave a Reply