স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এখনো বৈষম্য বিরোধী মামলার অভিযুক্তরা গ্রেফতার না হওয়ায় জনমনে ক্ষোভ বিরাজ করছে। অনেকেই প্রকাশ্যে এবং পুলিশের সাথে মিলেমিশে স্বাভাবিক ভাবে চলাফেরা করছে। উপজেলার কালিয়ার ভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম আসামী ইমদাদুল হক চৌধুরী, প্রণব দাস, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মাহমুদের অন্যতম সহচর, অর্থসংগ্রহকারী, সন্ত্রাসী রুবেল মিয়া প্রকাশ্যে পুলিশের সাথে মিলেমিশে মামলা তদবীর সহ সার্বক্ষনিক মেলামেশা করছে। কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত দারোগাকে নিয়ে এম এস ষ্টোরে গত ২৭ মে থেকে একাধিকবার গোপন বৈঠক করেছেন। দোকানের সিসি ক্যামেরা দেখা হলে এর প্রমাণ পাওয়া যাবে। নাম পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে অনেকেই বলেছেন শ্রীমতপুর গ্রামের মৃত তুলপি মিয়ার পুত্র রুবেল মিয়া এলাকার চুরি এবং বানিয়াচং ও নবীগঞ্জ হবিগঞ্জ রোডের রোড ডাকাতির অন্যতম সহযোগী। রুবেল মিয়া সমাজের নানা রকম অপরাধ সংগঠনের অন্যতম কারিগর। ইতিপূর্বে বিভিন্ন প্রতারণা ও লন্ডনী কন্যা সাজিয়ে একটি বেসরকারী টেলিভিশনে একটি কল্পকাহিনী প্রচার করার ঘটনা এলাকায় ফাঁস হয়ে গেলে পরে ক্ষমা চেয়ে নিস্তার পায়। এছাড়া বিভিন্ন মানুষের সাথে প্রতারণা করে অর্থকরী হাতিয়ে নেয়ার মত ঘটনা রয়েছে। জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের হত্যা মামলার পলাতক আসামী সুলতান মাহমুদ কে গা ঢাকা দিয়ে রাখা ও অর্থ জোগান দিচ্ছে এই রুবেল মিয়া । শুধুমাত্র কালিয়ারভাঙ্গা
ইউনিয়নের দায়িত্বরত দারোগার সাথে আতাঁত করে আওয়ামী দোসর রুবেল মিয়া এখনো এলাকায় নানা রকম অপরাধ সংঘটিত করে যাচ্ছে। কালিয়ারভাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান, আওয়ামীলীগ নেতা, বৈষম্য বিরোধী মামলার আসামী ইমদাদুল হক চৌধুরী, প্রণব দাস ও রুবেল মিয়া সহ চিহ্নিত অপরাধীদের গ্রেফতার করা হলে কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়ন সহ আশপাশ এলাকার অপরাধ প্রবণতা অনেকাংশেই হ্রাস পাবে বলে ভূক্তভোগীরা মনে করেন।
Leave a Reply