স্টাফ রিপোর্টার ॥ শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নুরপুরে কোনো প্রকার নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে দই। প্রতিদিন শত শত কেজি দই তৈরি হয়। এসব দই ‘বগুড়ার দই’ নামে বিক্রি করা হয় হবিগঞ্জ-সহ আশপাশের জেলা সমুহে। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নুরপুর কাঠালতলী এলাকায় একটি বাড়িতে নোংরা পরিবেশে দই তৈরি করা হচ্ছে। জং যুক্ত টিনের ড্রামে জ্বাল দেওয়া হচ্ছে দুধ। আশপাশে ঘুরছে করছে মাছি। প্রস্ততকৃত দইয়ের উপরেও পরে আছে মাছি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রায় ২ বছর ধরে সাইফুল ইসলাম নামে একব্যক্তি এই বাড়িটি ভাড়া নিয়ে দই প্রস্তুত ও বাজারজাত করে আসছেন। শায়েস্তাগঞ্জে তৈরি হলেও এসব দই বগুড়ার বলে প্রতারণা করে বিক্রি করেন তার প্রতিনিধিরা।
এছাড়াও ১ কেজি ওজনের দইয়ে শুধু বাটির ওজনই থাকে ৫০০-৬০০ গ্রাম। ফলে ঠকছেন ক্রেতারা। বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক ও রঙ ব্যবহার করায় ভোক্তারা পেটের পীড়াসহ নানান সমস্যায় ভোগছেন।
১০-১২ জন লোক দিয়ে এসব দই রেলওয়ে স্টেশন, বাস স্টপেজ ও বিভিন্ন বাজারে ফেরি করে বিক্রি করা হয়। প্রতি কেজি দই ১৮০-২২০ টাকায় বিক্রি করেন তারা।
Leave a Reply