স্টাফ রিপোর্টার ॥ ৯ মাস কারাভোগের পর জামিনে এসেই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করার কর্মকান্ডে তৎপর হয়ে উঠেছেন চুনারুঘাট উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মোঃ ওয়াহেদ আলী। একাধারে তিনি পাইকপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানও। ৫ আগষ্ট ফ্যাসিবাদ সরকারের পতন ঘটার পর শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রীজে ছাত্র-জনতার উপর হামলা, মাধবপুরে হত্যাসহ বেশ কয়েকটি মামলায় আটক হন উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও পাইকপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়াহেদ আলী। ৯ মাস কারাভোগের পর গত এক সপ্তাহ আগে তিনি জামিনে জেল থেকে বেরিয়ে আসেন। স্থানীয় জনগণের অভিযোগ ৯ মাস জেলে থেকেও বা কোনো প্রকার ছুটি না কাটিয়ে পুনরায় কিভাবে চেয়ারম্যানের পদটি ফিরে পেলেন। স্থানীয় সরকার বিভাগে কর্মরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেন, সুনির্দিষ্ট ছুটি বা আবেদন ছাড়া দীর্ঘদিন কোনো জনপ্রতিনিধি অনুপস্থিত থাকলে তার সকল কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি পাওয়ার কথা। যেহেতু ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে প্রায় ৯ মাস কারাগারে ছিলেন, সে হিসেবে তিনি তার কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিত বলা যায়। কিভাবে তিনি স্বপদে বহাল থাকছেন সেটা বোধগম্য নয়। অন্যদিকে ওয়াহেদ আলী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি। তিনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান থাকার সুবাদে উপজেলা প্রশাসন তথা আইন-শৃঙ্খলা সদস্য তথা সাধারণ মানুষের সাথে সহজে যোগসাজস করে যাচ্ছেন। ফলে তিনি আওয়ামীলীগকে নিজের মত করে সাজানোর চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। স্থানীয় গ্রামবাসীরা জানান, ২০২১ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সাবেক মন্ত্রী মাহবুব আলীর বিরাগ ভাজন হয়ে ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে ওয়াহেদ আলী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তার বিরুদ্ধে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান ও রঘুনন্দন সংরক্ষিত বনের গাছ পাচারের অভিযোগ রয়েছে।
Leave a Reply