বড়লেখা প্রতিনিধি ॥ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) জি.কে গউছ বলেছেন, বিএনপি বার বার জনগণের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছে। ফ্যাসিষ্ট হাসিনা ও তার ক্যাডার বাহিনী হামলা, মামলা, খুন করেও বিএনপিকে আটকাতে পারেনি। অমাদের দলে নিজেদের মানুষের অভাব নেই। তাই অন্য কোনো দলের লোককে আশ্রয় দেয়া যাবে না। ভুল করলে খেসারত দিতে হবে। মাঠের মানুষকে নেতা নির্বাচন করতে হবে, এটা আমাদের নেতা তারেক রহমানের কথা। গতকাল রোববার দুপুরে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিলের প্রথম অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা জি.কে গউছ আরো বলেন, বেগম খালেদা জিয়া কখনো আপোষ করেননি। এজন্য আমরা তাকে আপোষহীন নেত্রী বলি। আমরা তাকে মায়ের আসনে বসিয়েছি। হাসিনার চক্রান্তের শিকার হয়ে তিনি অসুস্থ হয়েছেন। চোঁখে না দেখলে বিশ্বাস করার নয়, তিনি কি পরিমাণ অসুস্থ রয়েছেন। গত সপ্তাহে বাসায় গিয়ে মাকে দেখে চোঁখের পানি আটকে রাখতে পারিনি। তিনি নিজের গুণে, নিজের যোগ্যতায় মানুষের মনে থাকবেন। আওয়ামী লীগ যেখানে ব্যর্থ বিএনপি বার বার সেখানে সফল হয়েছে। তারেক রহমান লন্ডনে থেকে দলকে এবং দলের মানুষকে রক্ষা করছেন। তারই নির্দেশনা ও নেতৃত্বে আমরা জীবন বাজী রেখে রাজপথ দখলে রেখেছিলাম। তিনি যেদিন দেশে আসবেন সেদিন দেশে নতুন এক ইতিহাস সৃষ্টি হবে। আমরা চাই, আমাদের নেতা যেদিন দেশের মাটিতে পা রাখবেন, সেদিন ঢাকার এক ইঞ্চি মাটিও যেন যায়নি, সেখানে বিএনপি নেতাকর্মী ও সমর্থতদের পা পড়েনি। কাউন্সিল অধিবেশনের আগে সম্মেলন উদ্বোধন করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফয়জুল করিম ময়ূন। উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা. মুস্তাকিম হোসেন বাবুলের সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপির আহআবয়ক কমিটির সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এম নাসের রহমান, জেলা বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, নাসির উদ্দিন আহমদ মিঠু, এম এ মুকিত, জেলা বিএনপির সাবেক উপদেষ্টা শরিফুল হক সাজু, জেলা বিএনপির সদস্য বকসি মিছবাহুর রহমান, মতিন বকস, কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক রেদওয়ান খান। দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে জি.কে গউছ আরো বলেন, আগামী ত্রয়োদশ নির্বাচনে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আমরা সরকার গঠন করব। তবে নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। ফেব্রুয়ারীতে যদি নির্বাচন না হয় তাহলে সবচেয়ে বেশি সুবিধা ভোগ করবে আওয়ামী লীগ। কিছু সংখ্যক আওয়ামী লীগ পালালেও অসংখ্য আওয়ামী লীগ দেশে রয়ে গেছে। তাই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।
Leave a Reply