মোঃ মিজান খাঁন ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি এবং ১৩ নং পানিউমদা ইউপি আওয়ামিলীগের সভাপতি হওয়ায় দূর্নীতি করে মানুষের জমি জমা মিথ্যা ওয়ারিশান সনদপত্র দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিতেন ইজাজুর রহমান চেয়ারম্যান। ঘটনা সূত্রে জানা যায়, ইজাজুর চেয়ারম্যান ২০১৩ সালে মৃত হাজী মামদ উল্লাহ নামে একটি ওয়ারিশান সনদ প্রদান করেন। যেখানে উল্লেখ করেন হাজী মামদ উল্লাহ ৪ সন্তান রেখে মারা যান। প্রকৃতপক্ষে, হাজী মামদ উল্লাহ ১১ সন্তান রেখে মারা যান, ৭ ছেলে ও ৪ মেয়ে। ২০১৩ সালে রুসমত উল্লাহ নামে আরেকটি ওয়ারিশান সনদ প্রদান করেন। যে রুসমত উল্লাহ দুই ছেলে রেখে মারা যান ১। আব্দুল মজিদ ২। আব্দুস সহিদ। প্রকৃত পক্ষে রুসমত উল্লাহ ৬ জন ওয়ারিশান রেখে মারা যান ২ ছেলে ও ৪ মেয়ে। চেয়ারম্যান এ-ও উল্লেখ করেন আব্দুস সহিদ অবিবাহিত অবস্থায় মারা যান। তাই রুসমত উল্লাহর সব সম্পত্তির মালিক আবদুল মজিদকে দেখিয়ে ও হাজী মামদ উল্লাহ ৪ সন্তানকে মুক্তিনামা দেখিয়ে ব্রজ গোপাল রায়ের মা শ্রী শান্তি রানী রায় এর নামে ১৩ শতক জায়গা দলিল করেন। আব্দুল মজিদ ছিলেন একজন সহজ সরল প্রকৃতির মানুষ তাকে কাবু করে ইজাজুর চেয়ারম্যান ব্রজ গোপালের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা খেয়ে রুসমত উল্লাহ সম্পত্তি আত্মসাতের পায়তারা করেন। অথচ আব্দুস সহিদ একাধিক বিবাহ করেন এবং তিনি ২ ছেলে ও এক মেয়ে রেখে মারা যান। আবার ২০২৩ সালে একই চেয়ারম্যান ইজাজুর রহমান মৃত রুসমত উল্লাহর আরও একটি ওয়ারিশান সনদ প্রদান করেন যে তিনি ২ ছেলে এবং ৪ মেয়ে রেখে মারা যান এবং আব্দুস সহিদ ২ ছেলে এবং ১ মেয়ে রেখে মারা যান। এই চেয়ারম্যান এই রকম অনেক ভূয়া ওয়ারিশান সনদ দিয়ে এলাকার অনেক অসহায় মানুষকে বিটা ছাড়া করেছেন। ভূয়া ওয়ারিশান সনদ এর মধ্যমে দলিল করার ফলে ইজাজুর রহমান, সাবেক মেম্বার আবুল ফজলসহ তার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে জাল জালিয়াতির মামলা করলে বিজ্ঞ আাদালত তদন্তের জন্য নবীগঞ্জ থানায় মামলা পাঠালে ইজাজুর চেয়ারম্যানের দলীয় ক্ষমতা এবং মোটা অংকের টাকার জোরে তদন্ত কর্মকর্তা ইজাজুরের আত্মীয় স্বজন ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের মিথ্যা সাক্ষী নিয়ে চেয়ারম্যানের পক্ষে আদালতে রিপোর্ট পাঠান। বিজ্ঞ আদালত বাদীপক্ষের নারাজি মঞ্জুর করেন এবং মামলাটি পিবিআই কে আবার পুনরায় তদন্তের দায়িত্ব দেন।
Leave a Reply