স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার মাধ্যমিক পরিক্ষার ফলাফল প্রকাশ হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সারাদেশের মাধ্যমিক শিক্ষা পর্যায়ের এসএসসি, দাখিল ও কারিগরি পরীক্ষার ফলাফল অনুসারে এগিয়ে আছে সিলেট বোর্ডের অধীনস্হ বানিয়াচংয়ের এসএসসির শিক্ষার্থীরা। এসএসসিতে পাশের হার ৬৪.১১ শতাংশ। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ফলাফলে পাসের হার ৪৪.৬৮ শতাংশ। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের পাসের হার ৩২.২১ শতাংশ। এসএসসিতে উপজেলার ২৭টি বিদ্যালয় থেকে মোট ২ হাজার ৫’শ ৬৯ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ১ হাজার ৬’শ ৪৭ জন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৭ জন। পাসের হার ৬৪.১১ শতাংশ। গত এসএসসি পরিক্ষার ফলাফলে পাশের হার ছিল ৭৩.৮০ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৭৬ জন শিক্ষার্থী।
কারিগরি শিক্ষায় উপজেলার দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১’শ ৪১ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ৬৩ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ জন। পাসের হার ৪৪.৬৮ শতাংশ। নাটোর-৪ আসনে সরব বিএনপির আজিজ, জামায়াতের হাকিম অপরদিকে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে উপজেলার ৬ টি মাদ্রাসা থেকে দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ২’শ ৮ জন। পাস করেছে ৬৭ জন। ওই প্রতিষ্ঠানগুলোতে জিপিএ-৫ কোন শিক্ষার্থী নেই। পাসের হার ৩২.২১ শতাংশ। গত দাখিল পরিক্ষায় পাশের হার ছিল ৭৬.২০ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ জন।
উপজেলায় এসএসসিতে সবচেয়ে বেশি জিপিএ-৫ পেয়েছে বানিয়াচং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ওই বিদ্যালয়ে জিপিএ-৫ বেশি পেলেও পাশের হার ৫৬.৩৪ শতাংশ। মোট পরিক্ষার্থী ছিল ২’শ ৮৪ জন। পাস করেছে ১’শ ৬০ জন শিক্ষার্থী এবং জিপিএ-৫ অর্জন করেছে ১৪ জন। উপজেলায় এসএসসিতে সবচেয়ে খারাপ ফলাফল করেছে মুরাদপুর মডেল উচ্চ বিদ্যালয়। ওই বিদ্যালয় থেকে ৮২ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে পাস করেছে মাত্র ৩১ জন। কোন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ অর্জন করতে পারেনি। পাসের হার মাত্র ৩৭.৮০ শতাংশ। উপজেলার সবচেয়ে বেশি মন্দরী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশের হার ৮৯.১৯ শতাংশ। ওই বিদ্যালয়ে পরিক্ষার্থী ছিল ৩৭ জন। পাশ করেছে ৩৩ জন এবং জিপিএ-৫ অর্জন করেছে ২ জন শিক্ষার্থী।
কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বানিয়াচং টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের সবচেয়ে বেশি পাসের হার ৬০ শতাংশ। পরিক্ষার্থী ছিল ৪০ জন। পাস করেছে ২৪ জন এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন। সবচেয়ে বেশি খারাপ করেছে বানিয়াচং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় (ভোকেশনাল)। পাশের হার ৩৭.৫০ শতাংশ। পরিক্ষার্থী ছিল ৭২ জন। পাস করেছে ২৭ জন এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন।
দাখিলে কুমড়ী নজরপুর বালিকা দাখিল মাদ্রাসা সবচেয়ে বেশি পাশের হার ৪১.৩৭ শতাংশ। পরিক্ষার্থী ছিল ২৯ জন। পাশ করেছে ১২ জন। জিপিএ-৫ কোন শিক্ষার্থী নেই। অপরদিকে খারাপ করেছে উত্তর সাঙ্গর সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসার পাশের হার ০.০৮ শতাংশ। পরিক্ষার্থী ছিল ১২ জন। পাস করেছে ১ জন। জিপিএ-৫ অর্জন কোন শিক্ষার্থীর পক্ষে সম্ভব হয়নি। এছাড়াও উপজেলার ১১টি বিদ্যালয়ের কোন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ অর্জন করতে পারেনি। ১১। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৩ হাজার ৬১৪ জন শিক্ষার্থী
Leave a Reply