স্টাফ রিপোর্টার : নবীগঞ্জের লন্ডন প্রবাসী মিনাল চৌধুরী সরকার পটপরিবর্তনের পর দেশে ফিরেই নিজেকে বিএনপির সক্রিয় কর্মী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সেল্ফি তোলাসহ নানা দৌড় ঝাঁপ নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে।
জানা যায়, বিগত নবীগঞ্জ পৌর নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী গোলাম রসুল চৌধুরী রাহেলের সমর্থনে নৌকা মার্কার পক্ষে প্রচার প্রচারণায় অংশ নেন নবীগঞ্জ শহরের হাসপাতাল রোডস্থ খালিক মঞ্জিল নিবাসী মৃত মদব্বির হোসেন (মত্তকির)চৌধুরীর পুত্র লন্ডন প্রবাসী মিনাল চৌধুরী। এ সুবাধে স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য মিলাদ গাজীসহ আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সু সম্পর্ক গড়ে উঠে। তার বিগত দিনের এসব কর্মকা-সহ আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মিনাল চৌধুরীর ছবিসহ ফেসবুকে বিলাল মিয়াসহ অনেকেই পোস্ট করেন।
সম্প্রতি সরকার পটপরিবর্তনের পর পরই দেশে ফিরে আসেন লন্ডন প্রবাসী মিনাল চৌধুরী। এবং নিজেকে বিএনপির কর্মী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ছবি তোলে ফেসবুকে আপলোড করেন। আওয়ামীলীগের আমলে সুবিধাভোগী মিনাল চৌধুরী নিজেকে বিএনপির প্রভাবশালী নেতার বলয়ের লোক হিসেবে পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে প্রভাব কাটানোর অপপ্রয়াস চালানোর অভিযোগ উঠেছে।
হঠাৎ বিএনপির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মিনাল চৌধুরীর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড হলে মিনাল চৌধুরীকে নিয়ে নানা সমালোচনায় সৃষ্টি হয়। ফেসবুক পোষ্টের কমেন্ট বক্সে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা হাইব্রিড মিনালকে নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করে তীব্র ক্ষোভ ব্যক্ত করেন। সম্প্রতি শহরের মদিনা জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির পূর্বের কমিটিকে পাশ কাটিয়ে অনুগত কয়েকজন লোক নিয়ে নিজেকে মোতাওয়াল্লী করে নতুন কমিটির ঘোষনায় মুসল্লীদের মাঝে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া খালিক মঞ্জিলে প্রয়াত ছানু মিয়া চৌধুরীর অংশ দখলে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে । এনিয়ে স্থানীয় ও জাতীয় একডজন পত্রিকায় সংবাদ পরিবেশন হয়েছে। প্রয়াত ছানু মিয়া চৌধুরীর মেয়ে বৃটিশ নাগরিক জোসনা চৌধুরী তার পৈতৃক সম্পত্তির দখলে নেয়ার প্রতিকার চেয়ে নবীগঞ্জ সেনা ক্যাম্পে অভিযোগ দেন। অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্ট দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তার অধিনে তদন্ত চলছে।
এ বিষয়ে নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি বিএনপির আহবায়ক সরফরাজ আহমদ চৌধুরী বলেন, মিনাল চৌধুরী বিএনপির কেউ নয়, সে ওয়ার্ড থেকে ইউনিয়ন এবং উপজেলা বিএনপির নেতৃত্বে তার নাম সদস্য পর্যন্ত নেই। উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক শিহাব আহমদ চৌধুরী জানান, মিনাল চৌধুরীর সাথে উপজেলা বিএনপির কোন প্রকার সাংগঠনিক যোগাযোগ নেই এবং লন্ডনে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পর্ক বা কোন পদ পদবি আছে কিনা জানা নেই। নবীগঞ্জ পৌর বিএনপির আহবায়ক ছালিক আহমদ চৌধুরী বলেন পৌর বিএনপির সাথে মিনাল চৌধুরীর কোন প্রকার সংশ্লিষ্টতা নেই। বিগত পৌর নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে মিনাল চৌধুরী কাজ করা নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
Leave a Reply