নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ মাধবপুর উপজেলায় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচনে কারচুপি করে পছন্দের শিক্ষিকাকে মনোনিত করার অভিযোগ উঠেছে।
শ্রেষ্ঠ শিক্ষক-শিক্ষিকা নির্বাচনে যে সমস্থ যোগ্যতা বা মাঠ পর্যায়ে কাজ করার বিভিন্ন যোগ্যতার প্রয়োজন হয়। কিন্তু মাধবপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা সেলিনা আক্তারকে মনোনিত করা হয়েছে। উদ্দ্যেশে প্রণোদিত ও অন্যায় লাভে বশীভূত হয়ে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুন নাজিম সেলিনা আক্তারকে কারসাজি করে অন্যায় লাভে বশীভূত হয়ে এই কর্মকরার অভিযোগ রয়েছে।
রফিকুন নাজিম দীর্ঘ ছয় বছর যাবৎ মাধবপুর উপজেলায় একই কর্মস্থলে নিয়োজিত রয়েছেন। যদিও ৩ বছরের অধিক সময় কোন কর্মকর্তা একই কর্মস্থলে বহাল না থাকার বিধান থাকলেও রফিকুন নাজিমের ক্ষেত্রে আইনী প্রক্রিয়া তার কেশাঘ্র স্পর্শ করেনি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রফিকুন নাজিম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতা হিসেবে একটি হলের দায়িত্বে ছিলেন। বিগত ১৫ বছর আওয়ামীলীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকার ফলে রফিকুন নাজিমরা সারা দেশে আইনকে নিজের মত ব্যবহার করে অবৈধ আয়ে আঙ্গুল পুলে কলাগাছ হয়ে উঠেছেন। রফিকুন নাজিম দীর্ঘদিন যাবৎ মাধবপুর শিক্ষা অফিসে অবস্থান করে সমগ্র উপজেলায় একটি বলয় তৈরী করে শিক্ষা অফিস ও ইউ এন ও অফিসে খবরদারী করে আসছেন। উপজেলায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচনেও তিনিই অবৈধ লাভে বশীভূত হয়ে শিক্ষক- শিক্ষিকার রেজাল্ট নিয়ে নয়ছয় করছেন। শ্রেষ্ঠ শিক্ষক-শিক্ষকা নির্বাচনে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও ইউএনও কে ম্যানেজ করে যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পাশ কাটিয়ে অন্য একজন শিক্ষিকাকে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হিসাবে মনোনিত করার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি প্রশাসনের উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন ভূক্তভোগী শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ।
Leave a Reply