স্টাফ রিপোর্টার ॥ রিজেন্ট শাহেদ। যিনি করোনাকালীন সময়ে করোনার ভূয়া রিপোর্ট দিয়ে কাড়ি কাড়ি টাকা কামিয়ে ছিলেন। শেষ পর্যন্ত ধরা পড়েন সদল বলে। এমনি কত শাহেদ দেশের আনাচে- কানাচে মাথা ছাড়া দিয়ে উঠেছে এর কোন হিসেব নেই। তবে হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে রিজেন্ট শাহেদের আর এক প্রেতাত্তার খবর পাওয়া গেছে।
তিনি করোনার সনদ বিক্রী করেন না। তিনি বিভিন্ন পন্থায় সংরক্ষিত বনাঞ্চলের বনজসম্পদ অবলীলায় হজম করেন। এই হজম প্রক্রিয়া করেন সংশ্লিষ্ট বন কর্মকর্তা- কর্মচারীদের সহায়তায়। তিনি বন বিভাগের কথিত মহালদার সেজে নামে- বেনামে সংরক্ষিত বনাঞ্চল রেমা কালেঙ্গা, রঘুনন্দন সহ চা বাগানের শেডটি পাচার করে কোটি কোটি টাকার মালিক।
তবে তিনি একজন দয়াবান ব্যাক্তি হিসাবে নাম কুড়াতেন এবং সমাজে একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যাক্তি হিসাবে পরিচিতি অর্জনের জন্য একশ্রেণীর কর্মকর্তা বা বিভিন্ন পেশার লোকজন কে নিয়ে ভ্রমন বিলাশে দেশ ও দেশের বাইরে চলে যেতে দেখা যায়। এমনও ঘটনা আছে। রিজেন্ট শাহেদের উত্তরসূরী হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার গোয়াছপুর গ্রামের বাসিন্দা মহালদার মিজানুর রহমান সোহাগ এমনই আরেক ব্যাক্তি। যাকে যা দিয়ে খুশী করা যায়, আয়ত্বে আনা বা বাগে আনা যায় সব কিছুতেই তিনি পারদর্শী। দুবাই – সিঙ্গাপুর সহ দেশের এমন কোন ভ্রমন কেন্দ্রীক স্থান নেই যে তার শোভারর্থীদের মনোতুষ্টির জন্য গমন করেননি। এ সংক্রান্ত অনেক ভিডিও ফুটেজ সহ ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যায়।
রাজনীতিতে রং না বদলালেও নেতা বদলাতে পারদর্শী এবং নেতার ঘাড়ে সরওয়ার হয়ে ফায়দা লুটতে তিনি খুবই পটু। এক সময়ে সাবেক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী, হবিগঞ্জ ৪ আাসনের সাবেক এম পি এ্যাডভোকেট মাহবুব আলীর ঘনিষ্ঠজন ছিলেন। কিন্তুু গত জানুয়ারী মাসে দ্ধাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি পরাজিত হওয়ার আশংকা দেখা দেয়ায় তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিষ্টার সায়েদুল হক সুমনের ঘাড়ে সরওয়ার হন। সাবেক প্রতিমন্ত্রীর ঘাড়ে উঠে যেভাবে বনাঞ্চল সহ চা বাগানের শেডটি নিধনে মেতে উঠেছিলেন সেই একই কায়দায় ব্যারিষ্টার সুমনের ঘাড়ে চড়ে আবারো রমরমা ব্যবসায় নেমে পড়েন। তার এই অপকর্ম ঢাকতে যাদের মুখ বন্ধ করতে হবে তাদের ভ্রমন বিলাসে দেশে- বিদেশে নিয়ে গিয়ে অপরাধ প্রচার রোধে মেতে উঠেন।
কথিত সোহাগ মহালদার সরকারী-বেসরকারী এবং কোনো কোনো চা বাগান ম্যানেজারকে ম্যানেজ করে সমাজে তিনি একজন আপডেড নাগরিক হিসাবে প্রতিষ্টা করতে খুবই তৎপর। তবে রিজেন্ট শাহেদের চেয়ে তিনি আরো কয়েক ধাপ এগিয়ে। যখন যা কে তার প্রয়োজনে ব্যবহার করা দরকার তা করতে তার কোন জুড়ি নেই। এক সময়ে স্থানীয় কয়েক জন সংবাদ কর্মীকে নিয়ে খুবই ঘোরাঘোরি করতেন। শেষ পর্যন্ত তাদের সিড়ি বানিয়ে একটু উপরি মহলে যোগাযোগ রচিত হলে ওই সমস্থ সংবাদ কর্মীদের শুন্য সিগারেটের প্যাকেটের মত ছুড়ে ফেলার ঘটনাও আছে।
Leave a Reply