স্টাফ রিপোর্টার ॥ দুই সপ্তাহ পর হবিগঞ্জে বৃষ্টির দেখা পাওয়ায় জনজীবনে স্বস্তি ফিরেছে। কয়েকদিনের তাপদাহে স্থবির হয়ে পড়া রোপা আমনের আবাদেও বৃষ্টিতে গতি ফিরেছে। আকস্মিক বন্যার পর দুই সপ্তাহ আগে জেলায় শেষবার বৃষ্টি হয়েছিল। এরপর গত কয়েকদিনের তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। এ পরিস্থিতিতে গতকাল শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বৃষ্টি শুরু হলে মানুষের মধ্য থেকে হাঁসফাঁস পরিস্থিতি কেটেছে। গতি ফিরেছে তাদের দৈনন্দিন কাজেও। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুপুর ২টা থেকে জেলা সদর, নবীগঞ্জ, লাখাই, শায়েস্তাগঞ্জ মাধবপুর, আজমিরীগঞ্জ ও বানিয়াচং উপজেলায় বৃষ্টি শুরু হয়। ফলে কৃষিজীবী মানুষদের মাঝে স্বস্তি দেখা দিয়েছে। হবিগঞ্জের ৯ উপজেলায় ৮৮ হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন আবাদের লক্ষ্য ছিল। গত শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত ৭৯ হাজার ৪৬০ হেক্টরে চারা রোপণের কাজ শেষ হয়।
তাপদাহের কারণে কৃষকরা কাজে না যাওয়ায় বাকি ৮ হাজার ৮৬০ হেক্টর জমির আবাদ আটকে যায়। গতকাল শনিবার দুপুরে বৃষ্টি হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। আজমিরীগঞ্জ উপজেলার হিলালপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেন বলেন, আমার পাঁচ বিঘা জমি চাষাবাদ করে রেখেছিলাম, কিন্তু গরমের কারণে শ্রমিক না পাওয়ায় চারা রোপণ করতে পারেননি। শনিবার বৃষ্টি হওয়ায় সেখানে আরেক দফায় হালচাষ করে চারা রোপণ করতে হবে । জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, আজমিরীগঞ্জ, লাখাই ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৮ হাজার ৮৬০ হেক্টর জমির আবাদ বন্যায় পিছিয়ে পড়ে। এ অবস্থায় তাপদাহ শুরু হলে সেগুলোর আবাদ আটকে যায়। যেহেতু বৃষ্টি হয়েছে আগামী দুদিনের মধ্যেই রোপণ কাজ শেষ হবে।
Leave a Reply