বৃহস্পতিবার, ১০ Jul ২০২৫, ০২:৫৬ অপরাহ্ন

শেখ হাসিনা সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের হত্যার মধ্য দিয়ে গণহত্যা শুরু করেন -জুবায়ের

শেখ হাসিনা সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের হত্যার মধ্য দিয়ে গণহত্যা শুরু করেন -জুবায়ের

শাহ মনিরুজ্জামান ॥ হবিগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেছেন- শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসেই বিডিআর বিদ্রোহের সময় দেশ সেরা সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের হত্যার মধ্য দিয়ে গণহত্যা শুরু করেন। আল্লামা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর কথিত ফাঁসির রায় দেয়ার দিন সারা দেশে যখন প্রতিবাদ শুরু হয় তখন শেখ হাসিনার নির্দেশে ২৫০ জন নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হয়।
সেটা ছিল দ্বিতীয় গণহত্যা। তৃতীয় গণহত্যা ছিল ২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকার শাপলা চত্বরে। হেফাজতে ইসলামের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে শেখ হাসিনার নির্দেশে রাতের আধারে গণহত্যা চালানো হয়। শেখ হাসিনার চূড়ান্ত গণহত্যা ছিল জুলাই গণহত্যা। ছাত্ররা অধিকারের কথা বলেছিল, তাদেরকে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করা হয়। হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে ছাত্র জনতাকে হত্যা করা ছিল শেখ হাসিনার নৃশংস গণহত্যা।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টায় হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে জেলা জামায়াত ইসলামীর আয়োজনে সিরাতুন্নবি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন। মাওলানা মুখলিছুর রহমানের সভাপতিত্বে কাজী মহসিন আহমেদ ও এডভোকেট নজরুল ইসলামের পরিচালনায় সিরাত মাহফিলে প্রধান বক্তা ছিলেন শায়েখ মাহমুদুল হাসান। বক্তব্য রাখেন মাওলানা রফিক বিন বদরুল হুদাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথির তার বক্তব্যে আরো বলেন- ৫৪ বছরে মানবিক বাংলাদেশ হয়নি, ৫৪ বছরের মধ্যে শেখ হাসিনার আমল ছিল সবচেয়ে বৈষম্যপূর্ণ শাসন, তাতে ন্যায় বিচার ছিল না। শেখ হাসিনা মাঝে মাঝে গুমটা পড়ে, তাছবিহ হাতে নিয়ে নাটক করতেন। আওয়ামী লীগের হিন্দু নেতারা বলতেন- শেখ হাসিনাকে তারা তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তে দেখেছেন। ইসলামী রাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তা দেয়া হয় অমুসলিমদেরকে। ৫ আগষ্টের পর বিশ্ব দেখেছে জামায়াতে ইসলামী কিভাবে অমুসলিমদের নিরাপত্তা দিয়েছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের কোন ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না, সকল চক্রান্ত নস্যাৎ করে দেয়া হবে।
প্রধান আলোচক মুহাদ্দিস শায়েখ মাহমুদুল হাসান বলেন, মহানবী সা. মক্কী জীবনে বিপন্ন মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে যে পাঁচ দফা কর্মসূচি পালন করেছিলেন জামায়াতের সকল নেতাকর্মীর সেই কর্মসূচি পালনে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। তাহলেই যুগযুগ ধরে চলমান বৈষম্যের শিকার এদেশের জনগণ জামায়াতকে রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করে ন্যায় ও ইনসাফের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপরিচালনার সুযোগ করে দিবে। জেলা পরিষদ মিলনায়তনে জেলা নায়েবে আমির কাজী মাওঃ মুখলিছুর রহমান-এর সভাপতিত্বে জেলা সহকারী সেক্রেটারিদ্বয় এডভোকেট নজরুল ইসলাম ও কাজী আব্দুর রউফ বাহার এর যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য পেশ করেন সিলেট মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি শাহজাহান আলী।
প্রধান আলোচক হিসেবে আলোচনা করেন ঢাকা মিসবাহুল উলুম কামিল মাদ্রাসার প্রধান মুহাদ্দিস শায়েখ মাহমুদুল হাসান, ওবিশেষ অথিতিছিলেন মুফতি রফিক বিন বদরুল হুদা। অনুষ্ঠানের
শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি কাজী মহসিন আহমদ।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন হবিগঞ্জ জেলা শিবিরের সাবেক সভাপতি, সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী মীরনুরুন্নবী উজ্জ্বল, জেলা শিবিরের সভাপতি রবিউল ইসলাম, জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য মাওঃ আশরাফআলী, মাওঃ হাবিবুর রহমান, মাধবপুর উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওঃ আলাউদ্দিন ভুঁইয়া, চুনারুঘাট উপজেলা আমীর হাফেজ মাওঃ কামরুল ইসলাম, বানিয়াচং উপজেলাআমীর মাওঃ তাসলিম আলম মাহদী, নবীগঞ্জ উপজেলা আমীর মাওঃ ইসমাইল হোসেন জসিম এবং জেলা শিবিরের সেক্রেটারি হোসাইন আহমদ প্রমূখ।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved 2024 DailyBijoyerProtiddhoni
Design & Developed BY ThemesBazar.Com