মাধবপুরে জাস রটোফ্লেক্স কারখানার দূষিত বর্জ্যে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে গুরুতর অভিযোগ ওঠেছে। নির্গত কেমিক্যাল বর্জ্য ও নোংরা পানি এলাকার খাল, বিল, নালা ড্রেন পেরিয়ে এই পানিতে দূষিত হচ্ছে নদী। এতে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি বেড়েছে নাগরিক দুর্ভোগ। তবে এসব থেকে প্রতিকারের নেই কোনও স্থায়ী উদ্যোগ। পরিবেশ অধিদফতরে গত ২৮ অক্টোবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ছাতিয়াইন গ্রামের সাহেদ আলী নামে এক সচেতন নাগরিক।
মাধবপুর উপজেলার ছাতিয়াইন ইউনিয়নে গত কয়েক বছরে গড়ে উঠে বেশ কিছু শিল্প প্রতিষ্টান। এরমধ্যে জাস রটোফ্লেক্স কারখানাটি একটি কেমিক্যাল কারখানা। কারখানার মালিক জাকারিয়া চৌধূরী প্রভাব খাটিয়ে দূষিত বর্জ্য শোধনের জন্য ইটিপি ব্যবহার না করে কেমিক্যাল মিশ্রিত বিষাক্ত বর্জ্য পানি ছেড়ে দিচ্ছে খাল-বিলে। এতে খালটির পানি মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে। দূষিত পানির কারণে শত শত একর আবাদী জমির ফসল নষ্ট ও নদীর মাছও মরে যাচ্ছে। ধংসের পথে জীববৈচিত্রও। শুধু তাই নয়, খালের পানি দূষিত হয়ে যাওয়ায় দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটানোর মতো বিশুদ্ধ পানিরও সংকট দেখা দিয়েছে এলাকায়। কালো পানির দুর্গন্ধে গ্রামে থাকাই এখন দায়।
অভিযোগকারী সাহেদ আলী জানান, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে সড়ক ঘেষে এই খালটি বি-বাড়িয়া উপজেলার নাসিরনগর থেকে ছাতিয়াইন হয়ে রতনপুর পর্যন্ত এসেছে। এই খালের পানি দিয়ে দৈনন্দিন নানা প্রয়োজন মেটাতেন স্থানীয়রা। কিন্তু দূষণে এখন তা আর সম্ভব হচ্ছে না। দূষণের শিকার পাশ্ববর্তী বেশ কয়েটি গ্রাম। কারখানার বর্জ্যজনিত এ দূষণের বিরুদ্ধে স্থানীয়রা সোচ্চার হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয় নি। পরিবেশ উন্নয়নে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ দাবি করেছেন সাহেদ আলী।
হবিগঞ্জ জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আখতারুজ্জামান টুকু জানান, একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষ জাস রটোফ্লেক্স কারখানার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply