স্টাফ রিপোর্টার ॥ চুনারুঘাটে নীলফামারী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক মেজর রানা মোহাম্মদ সোহেল প্রকাশ্যে গুলি করলেও আইনানুগ ব্যবস্থা না নেয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন স্থানীয়রা। জনগণকে আতঙ্কিত করতে অবৈধভাবে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারকারী রানার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে চুনারুঘাট। স্থানীয়দের দাবি আইন সকলের জন্যই সমান। তাই তার অপরাধের বিচার করতে হবে। রবিবার বিকালে জেলার চুনারুঘাট উপজেলার কিছু লোক একটি পিস্তল ও গুলিসহ তাকে আটক করে চুনারুঘাট থানায় সোপর্দ করে। পরে থানা থেকে সেনাবাহিনী মুচলেকা দিয়ে তাকে তাদের হেফাজতে নিয়ে যায়।
পুলিশ জানায়, রানা মোহাম্মদ সোহেল বড়লেখা রাসলীলা উৎসব থেকে ফেরার পথে চুনারুঘাট উপজেলার খোয়াই ব্রিজের কাছে তার ব্যবহৃত গাড়ির সঙ্গে একটি মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে মোটরসাইকেল আরোহীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে স্থানীয় লোকজন জড়ো হলে একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে রানা নিজের লাইসেন্স করা পিস্তল থেকে ১ রাউন্ড গুলি ছুড়ে জনতাকে আতঙ্কিত করার চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় লোকজন আরও উত্তেজিত হয়ে তাকে আটক করে রাখে। খবর পেয়ে চুনারুঘাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রানাকে উদ্ধারসহ আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি জব্দ করে। পরে সেনাবাহিনীর একটি টিম এসে মুচলেকা দিয়ে তাকে তাদের হেফাজতে নিয়ে যায়। তবে প্রকাশ্যে গুলি করার পরও তার বিরুদ্ধে দৃশ্যমান আইনানুগ ব্যবস্থা না নেয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন স্থানীয়রা। তারা এই সাবেক সংসদ সদস্যের ঔদ্ধত্যপূর্ণ বেআইনি কাজের শাস্তি দাবি করেন। এ ব্যাপারে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. রেজাউল হক খান জানান, চুনারুঘাট খোয়াই ব্রিজে নীলফামারী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্যদের গাড়ির সঙ্গে একটি মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে। এতে মোটরসাইকেল আরোহী ও তিনি কিছুটা আহত হন। পরে এ ঘটনা নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে তিনি তার লাইসেন্সকৃত পিস্তল দিয়ে একটি ফাঁকা গুলি করেন। এতে জনগণ আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে তাকে আটক করে। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার ও তার সঙ্গে থাকা পিস্তল ও গুলি জব্দ করে। পরে চুনারুঘাট সেনাক্যাম্প থেকে সেনাবাহিনীর একটি এস মুচলেকা দিয়ে তাকে তাদের হেফাজতে নিয়ে যায়। তিনি জানান, পুলিশ এ বিষয়ে তদন্ত করছে। এ তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply