বৃহস্পতিবার, ১০ Jul ২০২৫, ১২:৪০ অপরাহ্ন

আজমিরীগঞ্জে ফলমূলের বাজার ঊর্ধ্বমুখী

আজমিরীগঞ্জে ফলমূলের বাজার ঊর্ধ্বমুখী

আজমিরীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ আজমিরীগঞ্জে নিত্যপণ্যের বাজারের পাশাপাশি পিছিয়ে নেই ফলমূলের দামও। বাড়তির দিকে প্রায় সব ধরনের ফলে দাম। এতে দিশেহারা সাধারণ ভোক্তারা। আজমিরীগঞ্জ টানবাজার চরবাজার ও কাকাইলছেও চৌধুরীবাজার ফলের বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে একই চিত্র দেখা যায় বাজারে প্রতি কেজি দাবাস খেজুর ৪৬০ থেকে ৪৮০ টাকা, আজওয়া খেজুর ১ হাজার ২০০ টাকা, বরই খেজুর ৫০০ থেকে ৫৮০ টাকা, মরিয়ম খেজুর ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা ও মেডজুল খেজুর বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকায়।
এদিকে মাল্টা ২৮০ টাকা, সবুজ আপেল ৩৪০ টাকা, রয়েল গালা আপেল ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা, ফুজি আপেল ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকা, নাশপাতি ৪০০ টাকা, আনার ৭০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কমলা ৩৫০ টাকা, লাল আঙুর ৪৮০ টাকা, সবুজ আঙুর ৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া পেঁপে ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি, পেয়ারা ৭০-৮০ টাকা, ডাব প্রতি পিস ১২০-১৫০ টাকা নারিকেল প্রতিপিচ ২৫০-৩০০ টাকা ও মানভেদে প্রতি পিস আনারস বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়।
ক্রেতারা বলছেন, সবজি-মাছের বাজারের উত্তাপ ছড়িয়েছে ফলের বাজারেও। দাম বেড়ে গেছে প্রায় প্রতিটি ফলেরেই। আলমগীর মিয়া নামে এক ক্রেতা বলেন, রোজার সময় চাহিদা বাড়ায় ফলের দাম বাড়ে, সেটি স্বাভাবিক। কিন্তু এখন দাম বাড়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই। ব্যবসায়ীরা কারসাজি করে দাম বাড়াচ্ছেন।
বাজারে আমদানি কমের অজুহাত দিয়ে ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারি ও আড়ত পর্যায়ে কমেছে ফলের সরবরাহ। এতে পাইকারিতে দাম বাড়ায় এর প্রভাব পড়ছে খুচরাতেও।
কাকাইলছেও চৌধুরীবাজারের ফল বিক্রেতা সবুজ মিয়া জানান, ফলের আমদানি কমেছে। তাই দাম বাড়ছে। এলসি সংকট খুব একটা নেই বর্তমানে।
তবে আমদানিকারকরা ইচ্ছে করে বিদেশি ফল বাজারে কম ছাড়ছেন আর হাতিয়ে নিচ্ছেন বাড়তি দাম এমন অভিযোগ রয়েছে খুচরা বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতাদের।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved 2024 DailyBijoyerProtiddhoni
Design & Developed BY ThemesBazar.Com