স্টাফ রিপোর্টার ॥ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাবেক উপ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও বাংলাদেশ পুলিশের তেজগাঁও গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী কমিশনার নিউটন দাশ সবুজের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে একটি পরিবার। দলীয় ও প্রশাসনিক প্রভাব খাটিয়ে ব্যক্তি গত বিরোধকে রাজনৈতিক মামলা দেখিয়ে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এমনকি ওই পরিবারকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছেন নিউটন ও তার পরিবার। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেছেন বানিয়াচং থানার কাগাপাশ ইউনিয়নের সেকান্দরপুর গ্রামের জুগেশ চন্দ্র দাশের ছেলে জগদীশ দাশ ভৈরব। সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, নিউটনের পরিবারের সাথে জগদীশ দাশের পরিবারের তুচ্ছ বিষয় নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। ২০০৪ সালের ১৪ মে উভয়পক্ষে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় জগদীশের ভাগিনা পরিতোষ দাশ বাদী হয়ে বানিয়াচং থানায় মামলা করেন। মামলাটি ২০১২ সালে বিচারাধীন অবস্থায় নিউটন দাস সবুজ দলীয় প্রভাব খাটিয় এটিকে রাজনৈতিক মামলা দেখিয়ে হবিগঞ্জ কার্টের তৎকালীন পিপির মাধ্যমে বাতিল করিয়ে নেয়। পিপি কার্যালয় থেকে হবিগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়- ‘সবুজ দাস ওরফে নিউটন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জালালাবাদ ছাত্র কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মিডিয়া সেন্টারের সিলেট বিভাগের দায়িত্ব পালন করেন এবং বর্তমানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেদ্রীয় নির্বাহী সংসদের উপ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক। মামলার অন্যান্য আসামীগণ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও এর সহযাগী সংগঠনের লোক। এমতাবস্থায় বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক সূত্রে বর্ণিত মামলাটি প্রত্যাহার করার অনুমতি দানে মার্জি হয়।’
চিঠি দেওয়ার পর বিজ্ঞ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রট মামলাটি বাতিল করে দেন। পরবর্তীতে জগদীশ দাশ মামলা বাতিলের বিপক্ষে হাইকার্টে রিট পিটিশন দাখিল করেন। বর্তমান মামলাটি হাইকার্ট শুনানী পর্যায়ে রয়েছে। তিনি আরো অভিযোগ করেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে নিউটন দাস সবুজ তাদের ওপর অত্যাচারের স্টীম রুলার চালিয়েছে। ২০১৬ সালে ৩৫ তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারে চাকুরি ও সহকারি কমিশনার হওয়ার পর সে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে। বারবার পুলিশ পাঠিয়ে হয়রাণী করেছে। কোন জায়গায় অভিযোগ নিয়ে গেলও অভিযোগ নিতে চায়নি। তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর গত ২৭ ডিসেম্বর নিউটন দাস গ্রামে আসে এবং তাদেরকে হুমকি দিয়ে যায়। ইতোমধ্যে জগদীশ দাশের প্রায় অর্ধকোটি টাকা খরচ করতে হয়েছে। নিউটন দাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইতোমধ্যে অন্তর্বর্তীকালিন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, পুলিশের আইজিসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
Leave a Reply