নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ আজমিরীগঞ্জের কাকাইলছেওয়ে প্রতিনিয়ত কোন না কোন বাড়ীতে হানা দিচ্ছে চোরের দল। অনেকেই পাহারা দিচ্ছে রাত জেগে। রাতের আঁধারে যা পাচ্ছে, তা-ই চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে দুর্বৃত্তের দল। কেউই তাদের বিরুদ্ধে মুখ খোলে প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছে না। যদি কেহ প্রতিবাদ করতে সাহস করে তাদেরকেই শিকার হতে হয় নানা ধরণের নির্যাতন ও হয়রানির। স্থানীয়রা জানায়, গত শুক্রবার দিবাগত গভীররাতে এলাকার নজরাকান্দা গ্রামের সোবাহান মেম্বারের বাড়ীতে হানা দেয় একদল চোর। তারা বাহিরে রাখা ইঞ্জিনের পার্টস খোলে নেয়ার চেষ্টা করে। শব্দ পেয়ে লোকজন জেগে উঠলে দৌঁড়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। প্রতিদিনই কোন না কোন বাড়ির পাতিহাঁস, রাজহাঁস, কবুতর, মুরগী ইত্যাদি চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও গোয়ালঘর থেকে গবাদিপশু চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। এলাকার লোকজন জানায়, কারো গরু চুরি হলে নগদ অর্থের বিনিময়ে এটি উদ্ধার করা যায়। একই এলাকার রুদ্রনগর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত এক শিক্ষকের গোয়ালঘর থেকে একটি গাভী চুরি হয়। সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে খোঁজখবর করেও সন্ধ্যান করতে পারেনি। এক পর্যায়ে চোরদলের এক সদস্যের মাধ্যমে সন্ধ্যান পায়। পরে নগদ অর্থের বিনিময়ে গরুটি ছাড়িয়ে আনা হয়। প্রতিনিয়ত কোন না কোন বাড়ীতে হানা দেয়ায় বিনিদ্র রজনী যাপন করছে এলাকার লোকজন। একই এলাকার বাসিন্দা ও চিহ্নিত চোরের নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে ওই চোরচক্র। নানা স্থানে বিভিন্ন ধরণের চুরির অভিযোগে একাধিকবার কারাভোগ করেছে বলে জানায় স্থানীয়রা। বর্তমানে ওই চোরচক্রের উৎপাতে অতীষ্ঠ হয়ে পড়েছে শান্তিপ্রিয় এলাকাবাসী।
Leave a Reply