বৃহস্পতিবার, ১০ Jul ২০২৫, ০৯:০১ পূর্বাহ্ন

ক্ষমতার লোভে অন্ধ তিনবারের এমপি মজিদ, নির্বাচনে হেরে বাগিয়ে নেন পিপির পদ

ক্ষমতার লোভে অন্ধ তিনবারের এমপি মজিদ, নির্বাচনে হেরে বাগিয়ে নেন পিপির পদ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ২০০৮ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিনটি বিতর্কিত নির্বাচনে সংসদ সদস্য ছিলেন এডভোকেট মোঃ আব্দুল মজিদ খান। সর্বশেষ ২০২৪ সালের নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাননি তিনি। তবে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে আওয়ামীলীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনে নির্বাচন করে বিপুল ভোটে পরাজিত হন। কিন্তু অবৈধ আয় ও ক্ষমতার নেশায় উন্মত্ত হয়ে উঠেন । ভাগিয়ে নেন হবিগঞ্জ জেলার পাবলিক প্রসিকিউটরের পদ। কিন্তুু বেশী দিন ঠিকেনি ভাগিয়ে নেয়া সেই পিপির পদটিও। গত ৫ আগষ্ট ২৪ সালে আওয়ামী সরকারের পতনের পর বৈষম্য বিরোধী ছাত্রজনতার উপর হামলার দায়ে তিনটি মামলায় তিনি এখন শ্রীঘরে।
জানা গেছে, আব্দুল মজিদ খান এক সময়ে ন্যপের ( মোজাফ্ফর) রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন।২০০২ সালে রাজনীতিতে ডিগবাজি খেয়ে আওয়ামীলীগে যোগদান করেন । আইন ব্যবসায় তেমন সাফল্য অর্জন করতে পারেননি। যাকে সাধারণ মানুষ ‘বটতলার উকিল’ হিসেবেই চিনত। ২০০৫ সালে বিএপি ক্ষমতায় থাকাকালিন সময়ে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে আওয়ামীলীগের এক জনসভায় সাবেক অর্থমন্ত্রী ও আর্ন্তরজাতিক ব্যাক্তিত্ব শাহ এএসএম কিবরিয়া গ্রেনেড হামলায় গুরুতর আহত হয়ে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে মারা যাওয়ার পর বটতলার ওই উকিল অতি আগ্রহী হয়ে মামলার বাদি হয়ে লাইম লাইটে আসেন। শুরু করেন নানামুখী আয় রোজগারের ধান্ধা।
২০০৮ সালে আব্দুল মজিদ খান হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পাননি । আওয়ামীলীগ ও জাতীয়পার্টির জোট থাকায় জোটের প্রার্থী হিসেবে জাপার শংকর পাল মনোনয়ন পান। আব্দুল মজিদ খান নব্য আওয়ামীলীগার হয়েও তিনি মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। কিন্তুু ভাগ্যক্রমে মজিদ খান ওই আসনের সংসদসদস্য নির্বাচিত হয়ে যান। ভাগ্যের চাকা ঘুরে যায়। এরপর তিনি ২০১৪ ও ২০১৮ সালে আওয়ামীলীগের মনোনয়নে দুবার সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হন। ২০২৪ সালের নির্বাচনে তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। কিন্তু বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে গো হারা হারেন।পরাজয়ের গ্লানি মুছতে না পেরে তিনি চেয়ারের নেশায় উন্মত্ত হয়ে উঠেন। শেষ পর্যন্ত নানা কূট কৌশল অবলম্বন করে হবিগঞ্জ জেলা বারের পাবলিক প্রসিকিউটরের পদে দায়িত্বরত আইনজীবিকে সরিয়ে দিয়ে ওই পদটি ভাগিয়ে নেন। দুরন্ধর এই মজিদ খান অর্থের মোহে অন্ধ হয়ে এমন কোন কর্মনেই যে করেননি।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved 2024 DailyBijoyerProtiddhoni
Design & Developed BY ThemesBazar.Com