বাহুবল প্রতিনিধিঃবাহুবল উপজেলার স্নানঘাট গ্রামে সালিশদের উপর হামলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষে নারী সহ প্রায় অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে রোববার (৬ এপ্রিল)সকাল ৬ টার দিকে উপজেলার স্নানঘাট ইউনিয়নের স্নানঘাট গ্রামে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার রাতে স্থানীয় স্নানঘাট গ্রামের বাসিন্দা আওয়ামীলীগ নেতা ফয়জুর রহমান ও কৃষক লীগ নেতা মোশাহিদ মিয়ার নেতৃত্বে স্নানঘাট গ্রামের বাসিন্দা নিরীহ কালা মিয়ার ছেলে জাবেদ আলীকে ডেগার দিয়ে স্টেপ করে রক্তাক্ত করা হয়।এসময় জাবেদ আলী তাদের ভয়ে বাড়িতে বা হাসপাতালে যেতে পারছিলনা। এমতাবস্থায় বিএনপি নেতা চাঁন মিয়া ও সোহেল মিয়া সহ ১৫/২০ জনের একদল সালিশ জাবেদ আলীকে বাড়িতে নিয়ে যান।এসময় মোশাহিদ মিয়া ও তার লোকজন সালিশদের উপর হামলা চালায়। এতে বেশ কয়েকজন সালিশ আহত হন।এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবার সকাল ৬ টার দিকে দু’পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।প্রায় ২ ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে নারী সহ অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়।
খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক বাহুবল মডেল থানার একদল পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়,বাহুবল উপজেলার স্নানঘাট ইউনিয়নের স্নানঘাট গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতাকর্মীদের উপর হামলা মামলার আসামী তাজুল ইসলামের লোকজন দীর্ঘদিন যাবত এলাকার নিরীহ পরিবারগুলোর উপর অত্যাচার করে আসছেন।শনিবার রাত ১০ টার দিকে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে আওয়ামীলীগ নেতা ফয়জুর রহমানের নেতৃত্বে স্থানীয় কালা মিয়ার ছেলে জবেদ আলীর উপর আক্রমণ চালায়।
এসময় স্নানঘাট বাজারেই তাকে প্রতিবেশী আব্দুল জলিল মিয়ার ছেলে মোশাহিদ আলী ডেগার দিয়ে স্টেপ করে।এ অবস্থায় জাবেদ আলী গুরুতর আহত হলে তাকে এলাকার মুরুব্বিয়ান বাড়িতে পৌছানোর জন্য নিয়ে গেলে পুনরায় আবারও মোশাহিদ মিয়ার নেতৃত্বে সালিশদের উপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়।পরে স্থানীয়দের সহায়তায় আশংকাজনক অবস্থায় জাবেদ আলীকে উদ্ধার করে এমএজি সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক বাহুবল মডেল থানার একদল পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এলাকাবাসীর দাবী তারা সাবেক চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম তাজু, ফয়জুর রহমান ও মোশাহিদ বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে উঠেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাহুবল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আমরা খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি,বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
Leave a Reply