মাধবপুর প্রতিনিধি ॥ মাধবপুরে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ হত্যা মামলায় নিহতের স্বামী মো. সোহাগ মিয়াকে র্যাব-৯ ও র্যাব-১০-এর যৌথ অভিযানে রাজধানীর কেরাণীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২৮ জুলাই সন্ধ্যায় ঢাকার কেরাণীগঞ্জে ঝিলমিল ঢাকা পাম্পের সামনে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।সিলেট র্যাব ৯ এর মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কেএম শহিদুল ইসলাম জানান, নিহত গৃহবধূ মাইশা আক্তার (১৬) মাধবপুর উপজেলার হাড়িয়া এলাকার মো. বিল্লাল মিয়ার মেয়ে। প্রেমের সূত্র ধরে মাধবপুর উপজেলার কলেজপাড়ার বাসিন্দা মো.সোহাগ মিয়া ওরফে রমজানের (২৭) সঙ্গে কোর্ট ম্যারেজে বিয়ে হয় মাইশার। বিয়ের পর থেকেই স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যদের হাতে মাইশা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হন।গত ১৮ জুলাই সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সোহাগ মিয়া তার স্ত্রীর বোনকে ফোনে জানায়, মাইশা বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। খোঁজাখুঁজির পরও মাইশাকে না পেয়ে ২২ জুলাই বিকেলে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে তার বাবা দেখতে পান কলেজপাড়ায় সোহাগের বাড়ির পাশে একটি ডোবার কচুরিপানার নিচে একটি নারীর মরদেহ ভাসছে। মরদেহটি ছিল অর্ধগলিত। জানা যায়, নিহত মাইশা ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। তার মৃত ভ্রূণও উদ্ধার করা হয়।ঘটনার পর নিহতের বাবা বাদী হয়ে মাধবপুর থানায় হত্যা মামলা (নং-৪৫/৩০৯, তারিখ: ২৪/০৭/২০২৫) দায়ের করেন। মামলাটি ৩০২/২০১/৩৪ ধারায় রুজু করা হয়।, মামলার পরপরই পলাতক ঘাতক সোহাগ মিয়াকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা তৎপরতা চালানো হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২৮ জুলাই সন্ধ্যায় ঢাকার কেরাণীগঞ্জে ঝিলমিল ঢাকা পাম্পের সামনে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।গ্রেফতার সোহাগ মিয়া মৃত আব্দুল হাসেমের ছেলে। মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) মোহাম্মদ শহিদ উল্লাহ জানান,গ্রেফতার সোহাগ মিয়াকে হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে হবিগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply