স্টাফ রিপোর্টার ॥ বানিয়াচং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত তিন শিক্ষককে পুণর্বাসন করতে মরিয়া কতিপয় রাজনৈতিক নেতা। এঘটনায় শিক্ষকদের অপসারণের দাবিতে গত ২৮ জুলাই সোমবার সকালে আন্দোলনের পর-ফের ছাত্র-জনতার মাঝে বাড়ছে উত্তেজনা। জানা যায়,২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পারভীন আক্তার খানম, সহকারী প্রধান শিক্ষক শিরিনা আক্তার,এবং সহকারী শিক্ষক নানু মিয়ার বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনিয়ম দূর্নীতির বিষয়ে জেলা দূর্নীতি দমন কমিশন দুদকে গণস্বাক্ষর দিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন স্কুলটির বর্তমান এবং সাবেক ছাত্র-ছাত্রীরা। অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত শিক্ষকদেরকে সাময়িক ছুটিতে পাঠিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতায় তদন্ত শুরু হয়। দীর্ঘ তদন্তে ওই তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়। চলতি বছরের ১৭ মে সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক উইং) কাওসার আহমেদ স্বাক্ষরিত এক স্মারকে বিধি মোতাবেক তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ পূর্বক শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়। বিস্তর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরও ওই তিন শিক্ষক কতিপয় রাজনৈতিক নেতাদের মদদে বিদ্যালয়ে বহাল থাকতে চান। এরই প্রতিবাদে গত ২৮ জুলাই সোমবার স্কুল মাঠে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করেন অভিযোগকারি ও ছাত্র-জনতা। কিন্তু সেই মানববন্ধনে শিক্ষকদের ভাড়াটিয়া লাঠিয়াল বাহিনীর লোকজন ছাত্র-জনতার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে গুরুতর আহত হন মানববন্ধনে অংশ গ্রহণকারি বিদ্যালয়টির সাবেক ছাত্র রাসেল মিয়া,জুলাই যোদ্ধা তায়েফ মিয়া,এনামুল মিয়া,স্বাধীন ইসলাম,অপূর্বসহ প্রায় ২০জন ছাত্র জনতা। বিক্ষোভকারি ছাত্ররা বলেন,আওয়ামী শাসনামলে ব্যাপক অনিয়ম দূর্নীতির সাথে জড়িত ছিলেন ওই তিন শিক্ষক। আমাদের শিক্ষাঙ্গনে কোন প্রকার অনিয়ম দূর্নীতি আমরা বরদাস্ত করবোনা। দূর্নীতিবাজ শিক্ষকদের যারা পুনরায় বহাল রাখার চেষ্টা করছেন তারাও দূর্নীতিবাজ। এই দূর্নীতিবাজ শিক্ষকদের যতক্ষণ পর্যন্ত অপসারণ না করা হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে আমাদের যৌক্তিক আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। প্রয়োজনে আমরা প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করবো। এব্যাপারে বানিয়াচং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দ নুরুল হুদা বলেন,শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অস্থিরতার বিষয়ে আমরা অবগত রয়েছি।
Leave a Reply