ভারী বৃষ্টি আর ভারতের ত্রিপুরা থেকে আসা ঢলে ভয়ংকর এক বন্যার মুখোমুখি ১১ জেলার মানুষ। আশার খবর হলো. ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে সর্বনাশা বানের পানি। ফলে টানা পাঁচ দিন জলমগ্ন থাকা জনপদ বন্যার ক্ষতচিহ্ন নিয়ে বেরিয়ে আসছে। তবে এখনও ফেনী, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালীসহ বিভিন্ন এলাকায় পানিবন্দি লাখ লাখ মানুষ। সেখানে নেই পর্যাপ্ত চিকিৎসা ও ওষুধ। ত্রাণের হাহাকার এখনও দুর্গম এলাকায় রয়েই গেছে। এর মধ্যেই শনিবার রাতভর বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম, খুলনার কিছু নিম্নাঞ্চল নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। গত শনিবার পর্যন্ত বন্যায় ১৮ জন মারা যাওয়ার খবর দিলেও সোমবার কোনো মৃত্যুর তথ্য দিতে পারেনি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বন্যায় এখনও দেশের ১১ জেলায় ১০ লাখ ৪৭ হাজার ২৯ পরিবার পানিবন্দি। এসব এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ৫২ লাখ ৯ হাজার ৭৯৮।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুল হাসান বলেন, ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, লক্ষ্মীপুর ও কক্সবাজারের বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে। নতুন করে কোনো জেলা প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা নেই। বন্যাদুর্গতদের জন্য ৩ হাজার ৬৫৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে জানিয়ে সচিব জানান, এসব কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন ৪ লাখ ১৫ হাজার ২৭৩ জন। সেই সঙ্গে ২২ হাজার ২৯৮টি গবাদি পশুকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। বন্যার্তদের চিকিৎসায় ৭৪৮টি মেডিকেল টিম চালু রয়েছে বলে জানান তিনি।
Leave a Reply