জুয়েল চৌধুরী ॥ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েও হবিগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা সংস্থা (ডিবি) এর ওসি নূর হোসেন মামুন রয়ে গেছেন বহাল তবিয়তে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ- গত ১৮ জুলাই থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত সদর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খলিলুর রহমান ও ডিবির ওসি নূর হোসেন মামুনের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের উপর নির্বিচারে গুলি চালানো হয়। এতে শতাধিক ছাত্র জনতা গুরুতর আহত হয়েছেন। এ সময় পিডিবি’র লাইনম্যান সিলেটের বাসিন্দা মোস্তাক নামের এক যুবক নিহত হয়। এরপরেও অনেক পুলিশ অফিসার বদলী হলেও তিনি রয়ে গেছেন ডিবি অফিসেই। দীর্ঘদিন ধরে হবিগঞ্জে যোগদানের পর থেকে নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে আসা ভারতীয় চিনি ও মাদক পাচারকারীদের সাথে রয়েছে তার সখ্যতা। প্রতিদিনই সিলেটের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে চোরাইপথে আমদানীকৃত চিনি, গরু, মহিষসহ মাদকদ্রব্য চুনারুঘাট-শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রীজ হয়ে বিভিন্ন স্থানে ৪০/৫০ ট্রাক পাচার হচ্ছে। এদের কাছে থেকে কমিশন নেয়া হয় ট্রাক প্রতি ১০ হাজার টাকা করে। অর্থাৎ প্রতিদিনের আয় ৪ লাখ থেকে ৫ লাখ টাকা। পাচারকারীদের কাছ থেকে উত্তোলন করা টাকা নিরাপদে ডিবি’র ওসির কাছে পৌঁছে দেন তার বিশ^স্থ কথিত সোর্স। একই সাথে জেলার বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ডিবি’র ওসি নূর হোসেন মামুন, এসআই সোহেল রানা ও এসআই আলমগীর স্বশরীরে মাসোহারা নিয়ে ভাগবাটোয়ারা করে থাকেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ইতিপূর্বে বেশ কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করলেও মোটা অংকের টাকা নিয়ে রাস্তাতেই রফাদফা করে ফেলেন ওসি মামুন। এ ব্যাপারে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণকে অবগত করা হলেও রহস্যজনক কারণে তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ওসি মামুন নিজেকে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বলে পরিচয় দিতেন এবং চট্টগ্রাম বিভাগের বেশ কয়েকজন আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতার ঘনিষ্ঠ আত্মীয় দিয়ে দাপিয়ে বেড়াতেন। এ সকল অভিযোগের ব্যাপারে বক্তব্য নিতে তার সরকারি মোবাইলে ফোন দিয়ে সাংবাদিক পরিচয় দেয়ায় তিনি লাইনটি কেটে দেন। তাই তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
Leave a Reply