স্টাফ রিপোর্টার ॥ রেমা-কালেঙ্গা অভয়ারন্য। দেশের ২য় বৃহত্তম এই অভয়ারন্য যা সুন্দর বনের পরই এর অবস্থান। কিন্তুু বনবিভাগের কালেঙ্গা রেঞ্জ কর্মকর্তা মাসুদুর রহমানের নেতৃত্বে বিট অফিসারগণ অবৈধ আয়ের উৎস হিসাবে এই অভয়ারন্যকে লুটেপুটে খাওয়ার ফলে এর সেই গৌরব উজ্জল পরিবেশ আজ ভূলুণ্ঠিত। বনজ সম্পদ চুরি, বিপুল পরিমান ফসলী জমি সংঘবদ্ধ গাছ পাচারকারীদের হাতে চাষাবাদের জন্য রেঞ্জ কর্মকর্তা ও বিট অফিসারগণের যোগসাজসে সংরক্ষিত এই বন উজাড় হয়ে গেছে। বন বিভাগের কালেঙ্গা রেঞ্জের ছনবাড়ী ও গাতার বাড়ী সংরক্ষিত এলাকার প্রায় শতাধিক একর ফসলী জমি অবৈধভাবে অর্থের বিনিময়ে রেঞ্জ কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান ও ছনবাড়ী বিট কর্মকর্তা নিতিশ চক্রবর্তী যোগসাজসে গাজীপুর ইউনিয়নের জনৈক আঃ গফুরের পুত্র আব্দুল হাই, কাবিলাশপুরের মোতাব্বির, আজাদ মিয়া, জুয়েল মিয়া, রুবেল মিয়া, সোহেল মিয়া, আবুল কালাম, এখলাছ মিয়া, তাজুল মিয়া, বাসুল্লা গ্রামের মজিদ, রাসেল মিয়া, সজিব মিয়া, আহাদ মিয়া, নজরুল মিয়া, আওয়াল মিয়া, আমতলী গ্রামের আব্দুর রহিম, ধলাইপাড়ের আবজল মিয়া, গঙ্গানগর টিলাবাড়ির বিলাল মিয়াসহ ৩০/৩৫ জনের একটি বনদস্যু চক্রের কাছে চাষাবাদের জন্য দখল হস্তান্তর করেছে। যার ফলে বনের উপকারভোগী ও জনমনে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে। ইতিপূর্বে একই প্রক্রিয়ায় চাষাবাদের জন্য বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা ও বিট অফিসারগন তাদের দুস্কর্মের সহযোগী গাছ পাচারকারীদের চাষাবাদের জন্য লিজ দেয়ার বনাঞ্চলে গাছগাছালাী ব্যাপকভাবে পাচারের অভিযোগ উঠে। এ ব্যাপারে গত ১৬ জুলাই এ্যাডভোকেট মোঃ আকবর হোসেইন জিতু, (সাবেক পিপি) সভাপতি, সহ ব্যবস্থাপনা কমিটি রেমা, কালেঙ্গা রেঞ্জ, বিভাগীয় বনকর্মকর্তা সিলেট বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়েছে ২০১৫ – ২০১৬ সালে সৃজিত সামাজিক বনায়নসহ সংরক্ষিত বনাঞ্চলের সমুদয় গাছ বনদস্যুরা প্রকাশ্যেই নিয়ে যায়। রেমা-কালেঙ্গা অভয়ারন্য ও সংশ্লিষ্ট এলাকা বনাঞ্চল এলাকা উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের সরেজমিন তদন্তপূর্বক তড়িৎ কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবী জানানো হয়।
Leave a Reply