সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০২:৩৫ পূর্বাহ্ন

জেলা প্রশাসককে পুরাতন খোয়াই নদী সংরক্ষণে স্মারকলিপি

জেলা প্রশাসককে পুরাতন খোয়াই নদী সংরক্ষণে স্মারকলিপি

Oplus_2

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জের পুরাতন খোয়াই নদীর পূর্ণাঙ্গ সীমানা চিহ্নিতকরণ, দখল এবং দূষণমুক্ত করে সংরক্ষণের দাবীতে জেলা প্রশাসক এর কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) হবিগঞ্জ শাখা ও খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার।গতকাল রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে  জেলা প্রশাসক ড. মো: ফরিদুর রহমান এর হাতে এই স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাপা সভাপতি অধ্যাপক মোঃ ইকরামুল ওয়াদুদ, খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার ও বাপা সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল, নির্বাহী সদস্য বিশিষ্ট সাংবাদিক শোয়েব চৌধুরী, এডভোকেট বিজন বিহারী দাস ও আফরোজা সিদ্দিকা।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পুরাতন খোয়াই নদী শহরের অন্যতম প্রধান জলাধার। বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি ধারণ ও পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় পুরাতন খোয়াই নদীর ভূমিকা অপরিসীম। এছাড়া এই শহরের ইতিহাস ঐতিহ্য ও সৌন্দর্য বর্ধনের সাথে পুরাতন খোয়াই নদী একইসূত্রে গাঁথা। দুঃখজনক হলেও সত্য, কিছু স্বার্থান্বেষী মহল নদীটিকে অব্যাহতভাবে দখল করার কারণে এর শেষ চিহ্ন মুছে যেতে চলেছে। দীর্ঘদিন ধরে ভূমি দখলদারদের অবৈধ দখল, ভরাট ও দূষণের কারণে পুরাতন খোয়াই নদীর অবস্থা চরমে পৌঁছেছে। বছরের পর বছর ধরে চলে আসা এই সমস্যা দূরীকরণে কার্যকর কোন পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, নদীর পূর্ণাঙ্গ সীমানা নির্ধারণ না হওয়ার কারণে নদীর সকল অংশের উভয় পাড়ে দখল ও অবৈধ স্থাপনা তৈরির প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। পুরাতন খোয়াই নদীর উপর এরকম অনাকাঙ্ক্ষিত অন্যায় কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এভাবে নদীটি ধ্বংস করা হলে হবিগঞ্জে শুধু পরিবেশ বিপর্যয়ই নয়; ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় নেমে আসবে। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে জেলা প্রশাসন নদীটি দখলমুক্ত করার কাজ শুরু করে। মাছুলিয়া থেকে শায়েস্তানগর পর্যন্ত ১ কিলোমিটার এলাকা থেকে পাঁচ শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। কিন্তু একসময় উচ্ছেদ কার্যক্রম থেমে যায় এবং উচ্ছেদকৃত অংশ পুনরায় দখলে চলে যায়! এছাড়া খোয়াই নদী এবং পুরাতন খোয়াই নদীকে কেন্দ্র করে “খোয়াই রিভার সিস্টেম উন্নয়ন প্রকল্প” নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয় পরবর্তীতে এটির আর কোন অগ্রগতি দেখা যায়নি। অবিলম্বে পুরাতন খোয়াই নদীর পূর্ণাঙ্গ সীমানার চিহ্নিত করে সীমানা পিলার স্থাপন, নদীতে গড়ে ওঠা সকল স্থাপনা ও দখল উচ্ছেদ করে নদীটি খনন করা, নদীটিকে পূর্বের অবস্থা ফিরিয়ে আনা এবং দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা, নদীর উভয় পাড়ে প্রয়োজনীয় স্থানসমূহে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা এবং নদী পাড়ে গাছ রোপণ, মানুষের বসার স্থান করা এবং নদী রক্ষায় স্থানীয় প্রশাসন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও নাগরিক সমাজের সমন্বয়ে মনিটরিং টিম গঠন করার দাবি জানানো হয় স্মারকলিপিতে। জেলা প্রশাসক প্রতিনিধি দলের কাছ থেকে পুরাতন খোয়াই নদীসহ হবিগঞ্জের পরিবেশগত সমস্যার কথা শুনেন এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved 2024 DailyBijoyerProtiddhoni
Design & Developed BY ThemesBazar.Com