হবিগঞ্জে বণার্ঢ্য আয়োজন ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সঃ) পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে সোমবার আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত সমন্বয় পরিষদ হবিগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে চৌধুরী বাজার কেন্দ্রীয় সুন্নি জামে মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে বিশাল জশনে জুলুসের র্যালী বের করা হয়। র্যালীতে লাখো জনতার ঢল নামে। র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণ নিমতলায় এসে সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশে সভাপতি আলহাজ্ব রইছ মিয়ার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক কাজী মাওলানা আব্দুল জলিল এবং মাওলানা আবু তৈয়ব মোজাহিদীর যৌথ পরিচালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক ড. ফরিদুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি জাহিদুর রহমান, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক পৌর মেয়র জিকে গউছ, ইসলামি ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মাওলানা মনিরুজ্জামান উসমানি, বিশিষ্ট আইনজীবি চৌধুরী আশরাফুল বারী নোমান। বক্তব্য রাখেন কাদেরিয়া তৈয়্যবিয়া কামিল মাদ্রাসার মুহাদিস মাওলানা মাহমুদুর রহমান চিশতি, চৌধুরী বাজার কেন্দ্রীয় সুন্নি জামে মসজিদের খতিব মুফতি আব্দুল মজিদ পিরিজপুরী, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান আউয়াল, মাওলানা আলী মোহাম্মদ চৌধুরী, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত হবিগঞ্জের সভাপতি অধ্যপক শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট হবিগঞ্জ জেলা সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম সারোয়ার আলম, মুফতি তাহির উদ্দিন সিদ্দিকী, মাওলানা মোঃ খাইরুদ্দীন, মুফতি আশরাফুল ওয়াদুদ, মুফতি মোস্তাফিজুর রহমান আজহারী, মোঃ জালাল উদ্দিন আবেদী প্রমুখ। আলোচনা সভায় উপ¯ি’ত ছিলেন অধ্যক্ষ মাওলানা একে আফসার আহমেদ তালুকদার, মাওলানা শাহ জালাল আহমেদ আখঞ্জী, উপাধ্যক্ষ মাওলানা শেখ মোশাহিদ আলী, কাজী মাওলানা আবুল খায়ের সানু, মুফতি মহি উদ্দিন নাইমী, আলহাজ্ব আব্দুস শহীদ সালেহ, মুফতি আলমগীর হোসেন সাইফী, হাফেজ এবাদুল হক চৌধুরী প্রমুখ। আলোচনা সভার শুরুতে পরিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মুফতি সৈয়দ মোজাক্কির হোসেন। নাতে রাসুল পরিবেশ করেন মুফতি মুজিবুর রহমান খান। সভায় বক্তারা বলেন-এদেশে রাসুল প্রেমিক সুন্নি মুসমানগন যতদিন বেঁচে থাকবেন, ততদিন ১২ ই রবিউল আওয়াল এর জশনে জুলছে ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) এর আয়োজন করা হবে। এদেশের মানুষ মুসলমান হয়েছেন অলি আঊয়ালিয়াদের উসিলায়। তাদের পবিত্র মাজারের উপর যারা হামলা করেছে, তারা তো কখনো গান বাজনার আস্তানা, সিনেমা হল কিংবা মদ, গাজারসেবীদের আস্তানা ভাংচুর করেননি। এক দিকে তারা পূজা মন্ডপ রক্ষা করতে মন্দির পাহাড়া দিচ্ছেন, অপর দিকে অমূলক যুক্তি দেখিয়ে মাজার ভাংচুর করছে। এগুলো করে তারা দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করার পায়তারা করছে। আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে আলহাজ্ব রইছ মিয়া বলেন-ইসলাম হলো শান্তির ধর্ম। কিন্তুু একটি চক্র শান্তির এই ধর্মের নাম ভাঙ্গিয়ে দেশে উগ্রতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন তাদেরকে প্রতিহত করতে হবে। তিনি আরো বলেন-হবিগঞ্জ হলো সুন্নিয়তের নগরী। সকল সুন্নি জনতাকে আগামী দিনগুলোতে সুন্নিয়তের বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে এগিয়ে আসতে হবে। জেলার অত্যান্ত অঞ্চল থেকে লাখো নবী প্রেমিরা জুসনে জুলুসে অংশ নিয়ে ঈদে মিলাদুন্নবীর অনুষ্ঠান সফল করেছেন। এজন্য আমি আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। পরিশেষে বিশ্ব মুসলিম উম্মার শান্তি কামনা করে মিলাদ কেয়ামের মাধ্যমে মোনাজাত পরিচালনা করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন আল ইসলাহ হবিগঞ্জের সভাপতি মাওলানা ফরিদ উদ্দিন আহমদ।
Leave a Reply