সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০৬:৪৫ পূর্বাহ্ন

জুমআর দিন দুই ঈদের দিনের চেয়েও উত্তম

জুমআর দিন দুই ঈদের দিনের চেয়েও উত্তম

এম এ মজিদ ॥ হবিগঞ্জ শহরের কোর্ট জামে মসজিদে জুমার খুৎবায় মুফতি মোস্তাফিজুর রহমান আজহারী বলেছেন- বিভিন্ন কারণে জুম’আর দিন অতি উত্তম একটি দিন। জুম’আর দিনের গুরুত্বের কারণে আল্লাহ পাক পবিত্র কোরআনের একটি সূরার নাম রেখেছেন সুরা আল জুম’আ। এইদিনে আল্লাহ পাক হযরত আদম (আঃ) কে সৃষ্টি করেন। একই দিনে তিনি আদম আঃ কে বেহেশত থেকে দুনিয়ায় প্রেরণ করেন। এইদিনে আল্লাহ পাক আদম (আঃ) এর দোয়া কবুল করেন, একইদিনে তিনি আদম (আঃ) কে দুনিয়া থেকে উঠিয়ে নেন। জুম’আর দিনে কিয়ামত হবে। যার কারণে আল্লাহর সৃষ্টিজীবের অনেকেই পবিত্র শুক্রবারে খুব পেরেশানীর মধ্যে থাকে। আল্লাহর রাসুল (সাঃ) বলেছেন- জুম’আর দিন দুই ঈদের দিনের চেয়েও উত্তম। এইদিনে বেশি বেশি দুরুদ পড়ার জন্য আল্লাহর রাসুল (সাঃ) ঈমানদেরকে তাগিদ দিয়েছেন। জুম’আর দিনে এমন একটি সময় রয়েছে যে সময় আল্লাহ পাক দোয়া কবুল করে থাকেন। আর সেই সময়টি হচ্ছে শুক্রবারের আসরের নামাজ থেকে মাগরিবের নামাজের সময়। প্রত্যেক ফরজ নামাজ আল্লাহর কাছে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তুু জুম’আর দিনের ফজরের নামাজ জামায়াতের সাথে আদায় করা অতি গুরুত্বপূর্ণ। মুফতি আজহারী বলেন- মসজিদের ইমাম মুয়াজ্জিন খতিব হওয়ার অর্থ এই নয় যে, তারা অন্য মুসলমানদের চেয়ে উত্তম। বরং ইমাম মুয়াজ্জিনের ভুল হতে পারে, সেই ভুল ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যমে আদবের সাথে ধরিয়ে দিতে হবে। মসজিদের আদব রক্ষা করতে হবে। প্রকাশ্য সমালোচনা থেকে বিরত থাকতে হবে। বেশ কয়েকমাস যাবত হবিগঞ্জ কোর্ট জামে মসজিদে নিয়োগপ্রাপ্ত কোনো ইমাম খতিব ছিলেন না। সম্প্রতি জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে নিয়োগ কমিটি মুফতি মোস্তাফিজুর রহমান আজহারীকে কোর্ট জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হিসাবে নিয়োগ দেন। শুক্রবার (২ মে ২০২৫) তিনি প্রথম ওই মসজিদে জুমআর নামাজে ইমামতি করেন। মোস্তাফিজুর রহমান আজহারী মিশরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামের আইনের উপর ডিগ্রী অর্জন করেন। পরে তিনি কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামী শাস্ত্রে মাষ্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন। অসংগতিঃ কোর্ট জামে মসজিদে জুম’আর নামাজে তিন জন মুসল্লী পরে এসে অন্যান্য মুসল্লীদের ডিঙ্গিয়ে সামনের কাতারে গিয়ে বসেন। তাদের জন্য আবার আলাদা নামাজের বিছনা সাজানো ছিল। খতিব সাহেব যখন বয়ান করছিলেন তখন ওই তিনজন মুসল্লী গল্পগুজবে মেতে উঠেন। তাদের গল্প এতটাই বিরক্তিকর ছিল যে আশপাশের মুসল্লীগন খতিব সাহেবের বয়ান শুনতে পারছিলেন না। জুমা’র খুৎবা শুরু হলে দ্বিতীয় সারি থেকে একজন মুসল্লী সামনের কাতারে বসা মুয়াজ্জিন সাহেবকে ধাক্কা দিয়ে বলেন- “পানি কই, পানি দেন”। মুয়াজ্জিন সাহেব নিরবে বসে খুৎবা শুনছিলেন। মসজিদ গুলোতে কিছু মুসল্লীর এমন আচরণ উদ্ভট এবং বিরক্তিকর হওয়া স্বত্বেও তাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved 2024 DailyBijoyerProtiddhoni
Design & Developed BY ThemesBazar.Com