স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের উমরপুর গ্রামে যৌতুকের মামলা করায় স্বামীর হামলায় তিন সন্তানের জননীসহ ৫ জন আহত হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, প্রায় ১৫ বছর পূর্বে ওই গ্রামের ফজল মিয়ার ছেলে আহমদ মিয়ার সাথে একই গ্রামের রহমত উল্ল্যার কন্যা সাহেদা বেগমের। তাদের কোল জুড়ে এক মেয়ে ও ২ ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। ছয় মাস পূর্বে আহমদ মিয়া জুয়া খেলার জন্য যৌতুকের টাকা দাবি করে সাহেদা বেগমের উপর নির্যাতন শুরু করে। পরবর্তীতে সাহেদা বেগম তার পিত্রালয়ে চলে আসে। এ নিয়ে ¯’ানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে সালিশ বিচারের আয়োজন করা হয়। আহমদ মিয়া ওই সালিশ বিচার মানে না বলে প্রচার করতে থাকে। নিরুপায় হয়ে সাহেদা বেগম একটি নারী নির্যাতন মামলা দায়ের করেন। আগামীকাল (৩০ সেপ্টেম্বর) মামলার হাজিরার তারিখ হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে আহমদ মিয়া। গতকাল শনিবার সকালে আহমদ মিয়া, তার ভাই মোহাম্মদ মিয়া, ইউসুফ মিয়া, মোতাহির মিয়া, তাদের ফুফাতো ভাই সমছু মিয়া ও তাদের লোকজন রামদা, ফিকল, ছুরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সাহেদা বেগমের উপর হামলা চালায়। সাহেদা বেগমের শোর চিৎকারে লোকজন এগিয়ে আসলে তাদের উপরও হামলা চালায় তারা। এ সময় তাদের বাড়ীঘরে হামলা, ভাংচুর ও লোটপাট চালায় তারা। এতে সাহেদা বেগম (৩৫), আব্দুল কাদির (২৭), আব্দুল মমিন (৩২), মমতা বেগম (৪৫) ও হাসিনা বেগম (২৮) আহত হয়। তাদেরকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের শোর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। আহত সাহেদা বেগম জানান, আহমদ মিয়া জুয়া খেলায় আসক্ত হয়ে পড়ে। এর পর থেকেই তাকে যৌতুকের টাকার জন্য বিভিন্নভাবে নির্যাতন করতে থাকে। তার নির্যাতন সইতে না পেরে সে তার পিত্রালয়ে আসে। সালিশ বিচার অমান্য করায় নির্যাতনের মামলা দায়ের করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আহমদ মিয়া ও ভাইয়ের তাদের উপর হামলা চালায়। তারা তাদের প্রাণে হত্যা করবে বলে প্রচার করছে। এতে তারা নিরাপত্তা হীনতায় ভোগছে।
Leave a Reply