স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ শহরতলীর এড়ালিয়া গ্রামে আড়ালিয়া মৌজার এস,এ খতিয়ান নং- ৩৩৪, জেএল নং- ২৯ দাগ নং- ১১৮, মৌয়াজী ১৮ শতক আমন রকম ভূমি। উক্ত ভূমির রেকর্ডীয় ভূমির মালিক ইছব উল্লা, তিনি ওয়ারিশান হিসাবে আইয়ুব আলী গংকে জীবিত রেখে মারা যান। উক্ত দাগের আংশিক ভূমি মৃত ইছব উল্লার ওয়ারিশান মৌরশী সম্পত্তির বাট-বাটোয়ারার দাবীতে সোহেল মিয়া গংকে বিবাদী করে মাননীয়, সিনিয়র সহকারী জজ আদালত হবিগঞ্জ সদরে স্বত্ব মো: নং- ৩১ /২০১৬ ইং নং মোকাদ্দমা দায়ের করেন, আইয়ুব আলী। তিনি মারা যাওয়ার পর উক্ত মোকদ্দমাটি ওয়ারিশান হিসাবে তার পুত্র টিপু মিয়া গং বাদী শ্রেনীভুক্ত হন। পরবর্তীতে দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য স্বত্ব মোকাদ্দমাটি বদলী হয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ (আজমিরীগঞ্জ) আদালতে স্বত্ব মো: নং- ৪৬/২০২০ইং এ রুপান্তরিত হয়। মোকদ্দমাটি বিচারাধীন আছে। মোকদ্দমাটি বিচারাধীন অবস্থায় বিগত ৮ মে ২০২৩ইং তারিখে যার দলিল নং- ২৫২৬/২৩ইং নং- দলিল করে নেয় মোঃ জসিম উদ্দিন। তিনি অন্যায় ও অনধিকারে জোর পূর্বক বিরুদ্ধপূর্ন ভূমি তার একদল ভূমি খেকো বাহিনি দিয়ে দখলের চেষ্টা করে। পরে দখলকে কেন্দ্র করে জসিমের লোকজন টিপু মিয়া গংদের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এ ব্যাপারে থানা ও কোর্টে একাধিক মামলা দায়ের হয়। মামলা গুলো চীফ জুডিশিয়াল আদালতে বিচারাধীন আছে। ভূমির দখল বেদখল নিয়ে বাদী টিপু মিয়া ও বিবাদী মোঃ জসিম উদ্দিন গং বিরুদ্ধপূর্ণ তপশীলের ভূমিতে বিজ্ঞ আদালতের নিষেধাজ্ঞা প্রার্থনা করেন। বিগত ২৭ জুলাই ২৩ইং বিজ্ঞ বিচারক বাদী-বিবাদীকে উক্ত ভূমিতে কোন প্রকার নির্মাণ, স্থাপনা না করার জন্য এক স্থিতাবস্থা অর্থাৎ যে – যে অবস্থায় আছে সেই অবস্থায় থাকার জন্য আদেশ প্রদান করেন। উক্ত স্থিতাবস্থা অমান্য করে, আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙুলী প্রর্দশন করে। বিবাদী জসিম গং বৃহস্পতিবার ১৭ অক্টোবর সকালে নিষেধাজ্ঞা ভূমিতে দেয়াল নির্মাণ করার চেষ্টা চালায়। এ ব্যাপারে বাদী টিপু মিয়া, বিবাদী জসিম উদ্দিন গংকে প্রধান আসামী করে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় এক লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর কবির তৎক্ষনাৎ এস আই রুবেলকে একদল পুলিশ নিয়ে বিরুদ্ধপূর্ণ ভূমি স্থলে গিয়ে নিষেধ প্রদান করেন এবং আদালতে নিষেধাজ্ঞা আছে, কাজ না করার জন্য বিবাদীদের নিষেধ প্রদান করেন।
Leave a Reply